মাগুরায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন হয়েছে সঙ্গে বিজয় দিবস। পুরো শহর এলাকায় ছিল দেশের লাল সবুজের পতাকা। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমদাদুল হককে হতাশ করেছে জাতীয় পতাকার জীর্ণ অবস্থা।
তিনি চৌরঙ্গী দিয়ে হেঁটে নতুন বাজার এলাকায় গিয়েছেন এই ৭৫ বয়সেও। চোখে ভাসছিল সেই ১৯৭১ সালের এই দিনের কথা। যদিও শ্বাসকষ্ট কিছুটা হাঁটতে বাঁধে দিয়েছে। তবু সেই যুদ্ধ দিনের স্মৃতি এই লাল সবুজের পতাকার মিছিল তাঁকে ফিরে নিয়ে যায় তরুণ বয়সে।
তিনি বলেন, ‘মাগুরা শহরে যে কয়টি জাতীয় পতাকা টানানো তাঁর অর্ধেকটা বিবর্ণ। সবুজ ও না, আবার কালোও না। কোথাও আবার দেখলাম লাল বৃত্তে ছেঁড়া, পতাকায় কুঁচকানো ভাঁজ। দায়সারা ভাব, যেন খুব কষ্টে নিজের দেশের পতাকাটি টানিয়েছে।
আক্ষেপ করে বলেন, দেশপ্রেম তো জোর করে হয় না। ভেতর থেকে না জাগলে কিছু করার নেই। সারা বছর অল্প কয়েকটা দিন এই জাতীয় পতাকাটি টানানো হয়। অথচ সেই পতাকায় এত অবহেলা? এটা খুবই কষ্টের।’
নতুন বাজার এলাকায় মুদি পট্টিতে দেখা যায় কোথাও কালচে রং তো কোথাও গাঢ় সবুজ রঙের ব্যবহার। সারি সারি পতাকা টানানো থাকলেও পরস্পর কোনো মিল পাওয়া যায়নি মূল জাতীয় পতাকার রঙের সঙ্গে। এমনকি প্রায় পতাকার আকার ও ঠিক নাই।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে সঠিক মাপ ও রঙের পতাকা উত্তোলনের একটি নোটিশ জারি হয়। সেখানে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বিধি মোতাবেক সঠিক মাপ ও রঙের ব্যবহার ও নতুন পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা নিতে জেলা পর্যায়ে প্রশাসনকে বলা হয়। এর পরও শহরের একাধিক দোকান ও প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, কয়েক বছরের পুরান পতাকা ভাঁজে নষ্ট হওয়া, ছেঁড়া পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন জানান,সবার ভেতরে দেশপ্রেম থাকা জরুরি। জাতীয় পতাকার যারা অবহেলা করেন, অনিচ্ছায় এসব করেন তারা। অনিচ্ছায় আর এমন করবেন না বলে আমি মনে করি।’