গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে চলাচলরত ফেরিতে জুয়া খেলার অপরাধে চারজনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার দুপুরে তাঁদের সাজা দেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুল হক খান।
এর আগে শুক্রবার রাতে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরি কেরামত আলী মাঝ নদীতে পৌঁছালে যাত্রীবেশে থাকা নৌপুলিশ চার জুয়াড়িকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন গোয়ালন্দের উত্তর দৌলতদিয়া সিদ্দিক কাজীপাড়ার বরকত মোল্লা (৪২), উত্তর দৌলতদিয়া ঢল্লাপাড়ার নুরু খা (৫৩), বাহির চর দৌলতদিয়া শাহাদৎ মেম্বারপাড়ার উসমান মোল্লা (৫৪) ও একই গ্রামের সাগর হোসেন (৩৭)। এ সময় পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে তাস, কুপি বাতি, জুয়া খেলার একটি বোর্ড ও ৫০০ টাকা জব্দ করে।
পুলিশ জানায়, আটক ব্যক্তিরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে নেশা বা জুয়ার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে উসমান মোল্লা ফেরিতে জুয়া খেলার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। কারাগার থেকে গত বৃহস্পতিবার তিনি জামিনে বের হন।
ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় রাতে ফেরি মাঝ নদীতে পৌঁছালে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভিড়িয়ে জুয়াড়িরা ফেরিতে উঠে। ফেরির এক কোনায় কুপি বাতি জালিয়ে প্রথমে নিজেরা ৪-৫ জন বসে তাস নিয়ে খেলা শুরু করে। এ সময় কোনো যাত্রী বা গাড়িচালক খেলায় আগ্রহ দেখালে সংঘবদ্ধ চক্র টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র কেড়ে নেয়। কেউ এগিয়ে গেলে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে দ্রুত নৌকা নিয়ে সটকে পড়ে।
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাট থেকে রাত পৌনে ১২টার দিকে কেরামত আলী ফেরিতে জুয়াড়ি চক্রের সদস্যরা ওঠার খবর পেয়ে যাত্রী বেশে কয়েকজন অবস্থান নেন। ফেরিটি ছাড়ার পর কিছু দূর যেতেই কুপি বাতি জালিয়ে জুয়া খেলা শুরু করলে হাতেনাতে চারজনকে আটক করেন।
তিনি আরও বলেন, আটক ব্যক্তিরা নেশার সঙ্গে জড়িত থাকায় টাকা জোগাড় করতে এ ধরনের কাজে জড়িয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ফেরিতে পুলিশ দেওয়া সম্ভব হয় না। যে ফেরিতে পুলিশ থাকে না তা নিশ্চিত হয়ে ওই ফেরিতেই জুয়ার আসর বসানো হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।