আর মাত্র কয়েক দিন পরেই শুরু হচ্ছে বাঙালি সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। যশোরের শার্শায় এই উৎসব ঘিরে চলছে ব্যাক প্রস্তুতি। উপজেলার দুটি থানার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এ বছর ২৯টি পূজা মণ্ডবে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষে এখন চলছে রংতুলির আঁচড়। কারুকাজে ফুটে উঠছে প্রতিমার রূপ।
শুক্রবার সকালে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এবার ২৯টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হবে। এর মধ্যে শার্শা থানায় রয়েছে ২০টি ও বেনাপোল বন্দর থানায় নয়টি মণ্ডপ। ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। চলছে রংতুলির কাজ। প্রতিমা শিল্পীরা তাঁদের হাতের কারুকার্য ও রংতুলি দিয়ে প্রতিমাগুলোকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিছু কিছু মণ্ডপে সব প্রস্তুতি সম্পন্নের পর চলছে মঞ্চ ও অন্যান্য সাজসজ্জার কাজ।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ৫০০ কেজি চালের সমপরিমাণ ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা অনুদান দেবে সরকার। পূজা মণ্ডপগুলোতে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আনসার ও গ্রাম পুলিশের সঙ্গে পুলিশের তিনটি ভ্রাম্যমাণ দল কাজ করবে।
শার্শা উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বৌদ্যনাথ দাস জানান, উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম বলেন, পূজার সময়ে মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।