অসময়ে ফুলকপি চাষে লাভবান হয়েছেন আলী হোসেন। তিনি দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেন। খরচ বাদে অন্তত আড়াই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন এ কৃষক।
আলী হোসেন ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বোধখানা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১৬ সালে নিরাপদ (বিষমুক্ত) সবজি উৎপাদনে জাতীয় কৃষি পুরস্কার লাভ করেন।
গতকাল বোধখানা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, আলী হোসেনের খেতে সারি সারি ফুলকপি। গাছের চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই, এগুলো অসময়ে চাষ করা কোনো সবজি। শীতকালীন এ সবজির অসময়ে যে ফলন হয়েছে, তাতে মূল মৌসুমকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘গত ৮ মে দুই বিঘা জমিতে সাড়ে ১২ হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করি। এর মধ্যে অন্তত পাঁচ শ চারা মারা যায়। এসব চারা রোপণ, খেতে সেচ দেওয়া, সার প্রয়োগ, নিড়ানি, কীটনাশক দেওয়াসহ ৫৫ দিনে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।’
আলী হোসেন বলেন, ‘গাছের বয়স ৫৫ দিন হলে ফুলকপি কাটা শুরু করি। প্রতিটি ফুলকপি সাড়ে চার শ থেকে ছয় শ গ্রাম ওজন হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ফুলকপি তুলছি। অসময়ের কারণে এ সবজি বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।’
জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত এ কৃষক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ফুলকপি পাইকারি ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। খেতে যে পরিমাণ ফুলকপি হয়েছে, তাতে অন্তত তিন লাখ টাকায় বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘ফুলকপি শীতকালীন সবজি। এটা অসময় চাষ করলে বেশি দাম পাওয়া যায়। আলী হোসেন একজন আদর্শ কৃষক। ’