শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিং সংস্কারের ১০ দিনের মাথায় উঠতে শুরু করেছে। উপজেলার পদ্মা সেতু এলাকার নাওডোবা হাট থেকে শিকদার মার্কেট হয়ে পশ্চিম নাওডোবা পর্যন্ত এ সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়ক সংস্কারে কোনো নিয়ম মানা হয়নি। এই সড়কের ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আড়াই কিলোমিটার এই সড়ক সংস্কারে বরাদ্দ ছিল ২ কোটি টাকা। সড়কটির সংস্কারে গত বছরের জুলাই মাসে টেন্ডার হয়। এতে মেসার্স মোস্তফা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তবে কাজটি বাস্তবায়ন করেছেন আবু বেপারি নামের শরীয়তপুরের আরেক ঠিকাদার। ১০ দিন আগে সড়কটির কার্পেটিং শেষ হয়েছে। এখনো কর্তৃপক্ষকে কাজটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। এ প্রকল্পের ব্যয় হিসেবে এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার। যদিও এরই মধ্যে সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠতে শুরু করেছে।
এই সড়কের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গত সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঠিকাদার ও তাঁর লোকজন উঠে যাওয়া কার্পেটিংয়ের জায়গায় নতুন করে বিটুমিন ও পাথর দিয়ে ঠিক করার চেষ্টা করছেন। উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমন মোল্লা একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় সড়কটি পরিদর্শন করছেন। প্রকৌশলী ইমন মোল্লা বলেন, ‘সড়কটি এখনো আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। সড়ক নির্মাণে কোনো অনিয়ম হলে তার দায়ভার ঠিকাদারকেই নিতে হবে।’
ঠিকাদার আবু বেপারি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। যেসব স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে, সেখানে আবার কার্পেটিং করা হচ্ছে।’
তবে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ৬ ইঞ্চি মেকাডম ও ২৫ মিলিমিটার কার্পেটিং করার কথা থাকলেও তা ঠিকমতো করা হয়নি। এ ছাড়া নিম্নমানের বিটুমিন ও নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় দুই সপ্তাহ না যেতেই সড়কটির এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
শওকত নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, এই রাস্তা জনগণের কোনো কাজেই আসবে না। দুই মাসও টিকবে না। রাস্তার কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। উঠে যাওয়া কার্পেটিংয়ের জায়গায় পুনরায় আলকাতরা দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে, যাতে ২ কোটি টাকা হজম করা যায়।