রাঙামাটি সদর উপজেলার শুকরছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু এ অভিযোগ আমলে না নিয়ে তড়িঘড়ি নির্মাণকাজ শেষ করা হচ্ছে। তবে ঠিকাদার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে শুকরছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৮৬ লাখ টাকার সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণকাজ পায় দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান—সেলিস ব্রাদার্স ও দীপায়ন খীসা। নিয়ম অনুযায়ী ১ নম্বর ইট-কঙ্কর ব্যবহারের কথা থাকলেও, ঠিকাদার ২ নম্বর ইট-কঙ্কর ব্যবহার করছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ কালিম উল্লাহ বলেন, ‘ঠিকাদার নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেছেন। ১ নম্বর কঙ্করের পরিবর্তে ২ নম্বর বা তার চেয়েও খারাপ কঙ্কর দিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ করেছেন। বাজারে সবচেয়ে কম দামের সিমেন্ট ব্যবহার করেছেন। আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং আমাকে হুমকি দিয়েছেন ঠিকাদার। আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এ কাজ বুঝে নিব না।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার নুর মোহাম্মদ বাবু বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক যে অভিযোগ করেছেন, তা সঠিক নয়। ব্রিক ফিল্ড ম্যানেজার ভুলে দু-এক ট্রাক দুই নম্বরি মাল দিয়েছিলেন, এগুলো আমরা ব্যবহার করিনি। অভিযোগ পাওয়ার পর এগুলো ফেরত দিয়েছি। আর তাঁকে হুমকি দিয়েছি, এ কথা মিথ্যা।’
রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রকৌশলী রনী সাহা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাদের না জানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি লেখালেখি করে গেছেন। এরপরও আমাদের কাছে যে অভিযোগ এসেছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেছি। কাজের মান খারাপ হয়নি। সব ঠিক রেখে কাজ করা হয়েছে।’