বদরগঞ্জে নির্ধারিত সময়ের আগে খাতা নেওয়ার অভিযোগ এনে এসএসসি (কারিগরি) পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে বদরগঞ্জ মডেল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে তারা বিক্ষোভ করে।
শতাধিক পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার এবং কেন্দ্র সচিবের অপসারণের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে কারিগরির পরীক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান-২ (সৃজনশীল) পরীক্ষা শুরু হয়। ১৫ নম্বরের এই পরীক্ষা এক ঘণ্টা চলে।
তবে মমিনপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী মোরসালিন জানায়, প্রশ্নপত্র দুই ঘণ্টার হলেও পরীক্ষার খাতা নেওয়া হয় ৪৫ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যে।
চাঁদকুটিরডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের শেহাবুল শাকিব ও শ্যামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের আসাদুজ্জামান বলে, পদার্থ বিজ্ঞানে সবাই ফেল করবে। কারণ প্রশ্নপত্র ছিল দুই ঘণ্টার, নম্বর ৩০। খাতা ও প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর পরীক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টার সময় ভেবে লিখতে শুরু করে। কিন্তু ৩০ মিনিট পরে কক্ষের এক শিক্ষক বলেন, তাড়াতাড়ি লেখতে হবে। পরীক্ষা হবে এক ঘণ্টার ও ১৫ নম্বরের। পরে ৪৫ মিনিট যাওয়ার পর খাতা কেড়ে নেন কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকেরা।
তবে বদরগঞ্জ মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কারিগরি কেন্দ্রের সচিব ময়নুল হক সরকার বলেন, ‘প্রশ্নপত্র দুই ঘণ্টার হলেও পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা আছে এক ঘণ্টার। এটা পরীক্ষা প্রোগ্রামেও দেওয়া আছে, প্রশ্নপত্রের অর্ধেক সময়ে পরীক্ষা হবে, মার্কও হবে অর্ধেক।’
নির্ধারিত সময়ের আগে খাতা নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ময়নুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কি আমার দুশমন যে তাদের খাতা সময়ের আগে নিতে হবে? পড়লে দু-এক মিনিট পরে খাতা নেওয়া হয়।’
ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রেহেনুমা তারান্নুম বলেন, ‘ভকেশনাল এক ঘণ্টার পরীক্ষা, এটা পরীক্ষার্থীদের আগেই জানার কথা। আমি নিজেও পরীক্ষার কক্ষ ঘুরে ঘুরে বলেছি এক ঘণ্টার পরীক্ষা হবে।’
নির্ধারিত সময়ের আগে খাতা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘এটা হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি দেখা হবে।’