Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

নদীতীরের মাটি যাচ্ছে ভাটায়, ভাঙন-আতঙ্ক

আরিফুল হক তারেক, মুলাদী (বরিশাল)

নদীতীরের মাটি যাচ্ছে ভাটায়, ভাঙন-আতঙ্ক

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় পন্টুনে খননযন্ত্র (ভেকু) তুলে নদীপাড় থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর এলাকায় আড়িয়াল খাঁ থেকে এক মাস ধরে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। এতে নদীভাঙন বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে নদীতীরের বাসিন্দাদের মধ্যে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাতারচর গ্রামের হেমায়েত হাওলাদার ও তাঁর সহযোগীরা পন্টুনে ভেকু বসিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় দিচ্ছেন। হেমায়েত হাওলাদার উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের মনির সিকদারের ইটভাটায় মাটি সরবরাহের কাজ করেন।

প্রাকৃতিকভাবে নদীভাঙনের পাশাপাশি খননযন্ত্র দিয়ে নদীপাড়ের মাটি কেটে নেওয়ায় ভাঙন বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এ নিয়ে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাঁরা দ্রুত মাটি কাটা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রতিবছর মুলাদী উপজেলার ১৮টি ইটভাটায় বিপুল পরিমাণ মাটি প্রয়োজন হয়। এসব মাটি নদীপাড় থেকে সংগ্রহ করেন ইটভাটার মালিকেরা। আগে মাটি সরবরাহকারীরা চুক্তির মাধ্যমে শ্রমিক দিয়ে নদীপাড় থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় দিতেন। কিন্তু এ বছর সরবরাহকারীরা খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে ভাটায় দিচ্ছেন। শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি এবং সময়সাপেক্ষ হওয়ায় তাঁরা খননযন্ত্র ব্যবহার শুরু করেছেন। আর খননযন্ত্র দিয়ে অপেক্ষাকৃত গভীর থেকে মাটি কাটায় বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙন বেড়ে যাচ্ছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
সাহেবেরচর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে নেওয়ায় প্রতিবছরই ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে। আগে শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে নেওয়ায় অপেক্ষাকৃত কম গভীর করা হতো। এ বছর ভেকু দিয়ে মাটি নেওয়ায় নদীর তলদেশ পর্যন্ত গভীর হচ্ছে। এতে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই আশপাশের আরও এলাকা ভেঙে নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাটি সরবরাহকারী হেমায়েত হাওলাদার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এবং কম সময়ে বেশি মাটি সরবরাহ করতে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় দেওয়া হচ্ছে। ইটভাটার মালিক মনির সিকদারের জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে।’

মনির সিকদার বলেন, ‘মাটি সরবরাহকারীরা ট্রলারপ্রতি টাকা নিয়ে থাকেন। তাঁরা কোন জায়গা থেকে মাটি কাটেন কিংবা কীভাবে মাটি কাটেন, সে বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা নেই।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিজাম উদ্দীন বলেন, ‘ফসলি জমি থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার বিষয়টি জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাইনুল আহসান সবুজ বলেন, ‘খনন যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে নদীর তীর কাটার বিষয়টি দুঃখজনক। এতে নদীভাঙন বৃদ্ধি পায়। তীরবর্তী সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে নেওয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ