সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনারথাল হাওরে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৭৫ নম্বর প্রকল্পের ডুবাইল বাঁধটি ভেঙে যায়। এতে ২০০ হেক্টর জমির ধান পানিতে ডুবে যায়। ওই হাওরের আরও ২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান রক্ষায় নির্মাণ করা হয় পাঁচ কিলোমিটার বিকল্প বাঁধ। এতে এসব জমিসহ রক্ষা পায় আশপাশের কয়েকটি হাওরের ধান।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাউনাই নদের পাড় পর্যন্ত এলজিইডি রাস্তার পাশে বিকল্প পাঁচ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
এতে ধারাম, টগা, কাইঞ্জা, মহিষাখালীসহ পাশের দুই উপজেলার ১০ থেকে ১২ হাজার হেক্টর জমির ফসল রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। পাকা ধান কাটতে পেরে খুশি তাঁরা।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর পাউবোর অন্তর্ভুক্ত চন্দ্রসোনারথাল হাওরে ২ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ৫ এপ্রিল চন্দ্রসোনারথাল হাওরে ৭৫ নম্বর প্রকল্পটির ডুবাইল বাঁধ ভেঙে প্রায় ২০০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম ডুবাইল বাঁধটি পরিদর্শন করেন। প্রশাসনের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে হাওরের বাকি জমি রক্ষায় বিকল্প বাঁধ তৈরি করা হয়।
স্থানীয় কৃষক মোহন বলেন, ‘এই বাঁধ ধারামসহ সাত-আটটি হাওরের ধান রক্ষা করেছে। প্রতিবছর এই বাঁধ দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।’
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন বলেন, ‘চন্দ্রসোনারথাল হাওরের ডুবাইল বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় পর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) পরামর্শে বিকল্প ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করি। ফলে এই হাওরসহ আশপাশের দুই উপজেলার ১০ হাজার হেক্টর জমির ধান রক্ষা পেয়েছে। এই জায়গায় প্রতিবছর একটি কম্পার্টমেন্টাল বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রশাসনের কাছে আমরা জোর দাবি জানাই।’
ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ‘ডুবাইল বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে বিকল্প পাঁচ কিলোমিটার ফসল বাঁধ নির্মাণ করি। ফলে ২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ফসল আমরা রক্ষা করতে পেরেছি।’