ছাত্রলীগের মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা বিএনপির নেতা–কর্মীদের দাবি, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বলছেন,নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য বিএনপি নেতা–কর্মীরা নিজেরাই তাঁদের কার্যালয়ের আসবাব ভাঙচুর করেছেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের করা কটূক্তির প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি স্থানীয় সংসদ সদস্যের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজারে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে আসবাব, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় কার্যালয়ে বিএনপির কোনো নেতা–কর্মী ছিলেন না।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. কামরুল হুদা বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। আমাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। ছাত্রলীগের কর্মীরা তালা ভেঙে কার্যালয়ে ঢুকে আসবাব ভাঙচুর করার পাশাপাশি জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি পদদলিত করেন।’
এদিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হওয়ার পরপরই নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপি নেতা–কর্মীরা নিজেদের কার্যালয় নিজেরাই ভাঙচুর করেছেন।’
এ ঘটনায় সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সদস্যসচিব হারুন অর রশীদ মজুমদার, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ছুট্টু, যুবদল নেতা শরীফ হাসানসহ আরও অনেকে।