চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য প্রশিক্ষক গোলাম মোস্তফা খান। ১৩ নভেম্বর রাত ৮টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছে।
শিল্পীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত ২৮ অক্টোবর তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নৃত্যশিল্পে গোলাম মোস্তফার অবদান অনস্বীকার্য। সত্তরের দশকে বাংলাদেশের অন্যতম নৃত্যশিল্পী ছিলেন তিনি। বেশ কিছু নৃত্যনাট্যের নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর অনেক শিষ্য দেশে-বিদেশে নৃত্যশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
গোলাম মোস্তফা নির্দেশিত নৃত্যনাট্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘বেণুকার সুর’, ‘তিন সুরে গাঁথা’, ‘রক্তলাল অহংকার’ ইত্যাদি। ১৯৮০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বেণুকা ললিতকলা কেন্দ্র। এই প্রতিষ্ঠানে নাচের পাশাপাশি সংগীতসহ চারুকলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
নৃত্যে বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৬ সালে শিল্পকলা একাডেমি পদক লাভ করেন গোলাম মোস্তফা। ২০২০ সালে পান একুশে পদক।গোলাম মোস্তফা খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ বিশিষ্টজনেরা।