Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার স্বপ্ন পৌরবাসীর

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার স্বপ্ন পৌরবাসীর

প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মর্যাদা দেওয়া হলেও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছে ঝিনাইদহ পৌর এলাকার বাসিন্দারা। ১১ সেপ্টেম্বর এ পৌরসভার ভোট গ্রহণ। তাই এ নির্বাচনকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে পৌরবাসী। নির্বাচনে তাঁদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত হলে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

১৯৫৮ সালে যাত্রা শুরু করা এ পৌরসভার যত্রতত্র ময়লার স্তূপ। বিপর্যস্ত নালাব্যবস্থা, জ্বলে না সড়কবাতি। এমন নানা সংকটে অতিষ্ঠ পৌরবাসী। বাসিন্দারা বলছেন, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এ অভিযোগ মানতে নারাজ পৌর কর্তৃপক্ষ। আসন্ন ভোটে যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন, তাঁর কাছে পৌরবাসী প্রয়োজনীয় সেবা পাবে বলে প্রত্যাশা।

এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন নৌকা প্রতীকে আবদুল খালেক, নারকেলগাছ মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী, মোবাইল ফোন মো. মিজানুর রহমান এবং হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. সিরাজুল ইসলাম।

এ ছাড়া সাধারণ আসনে ৭১ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনে ২০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঝিনাইদহ পৌরসভায় মোট ভোটার ৮২ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৪৪৬ জন এবং নারী ভোটার ৪২ হাজার ২৪৯ জন। ভোট গ্রহণের জন্য ৪৭টি কেন্দ্র ও ২৬৫টি বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে।

তবে ভোট সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেক ভোটার। ভোটার ইফতি আহমেদ বলেন, ‘ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন দীর্ঘদিন পর হতে যাচ্ছে। আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা চাই ঝিনাইদহে যেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমরা এমন এক ব্যক্তিকে চাই, যিনি আগামী পাঁচ বছর জনগণের সেবা করবেন। পৌরবাসীর নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করবেন।’

পৌরসভার বাসিন্দা মো. ইসমাইল বলেন, ‘আমাদের নালার অবস্থা খুবই খারাপ। নালা পরিষ্কার না করার কারণে পানি জমে আছে। একটু বৃষ্টি হলেই নালার পানি বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ে। তাই আশা করছি, নির্বাচিত মেয়র আমাদের নালাব্যবস্থা মেরামতে এগিয়ে আসবেন।’

পবাহাটি এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম আলী বলেন, ‘পৌর এলাকার বেশির ভাগ বাতি সন্ধ্যার পর আর জ্বলে না। কয়েক স্থানে জ্বললেও মোমবাতির মতো আলো দেয়। এতে রাতে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের। আশা করছি, নতুন মেয়র এর ওপর নজর দেবেন।’

ইজিবাইকের চালক কামাল বলেন, ‘পৌরসভার রাস্তাগুলো এত পরিমাণ খারাপ যে ১০ বছরে কোনো মেরামত করা হয়নি। আশা করছি, নতুন মেয়র সড়ক সংস্কারে জোর দেবেন।’

এদিকে চারজন প্রার্থীর মধ্য দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। বাকিরা মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। নারকেলগাছ প্রতীকের মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে ঝিনাইদহ শহরকে তিলোত্তমা করে গড়ে তুলব। নির্বাচিত হওয়ার পর আমার সর্বপ্রথম কাজ হবে সন্ত্রাসমুক্ত পৌরসভা গড়ে তোলা। দ্বিতীয়ত, জবাবদিহিমূলক জনপ্রতিনিধি হতে চাই। তৃতীয়ত, একটি পরিচ্ছন্ন শহর ও প্রথম শ্রেণির পৌরসভার সব নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করব।’

হাতপাখা প্রতীকের মো. সিরাজুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি জয়ের জন্য শতভাগ আশাবাদী। মানুষের বেশ সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচিত হলে পৌরসভাকে মাদকমুক্ত করব। পৌরসভার যেসব কাজ অসমাপ্ত রয়েছে, সেসব সমাপ্ত করব।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ