
যশোরের চৌগাছায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পরিবেশ ক্রমেই সহিংস হচ্ছে। সর্বশেষ গত সোমবার রাতে সুখপুকুরিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নূরল ইসলাম নির্বাচনী প্রচার শেষে ফেরার পথে নৌকা সমর্থকদের হামলায় আহত হন। তাঁর পায়ে কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ সময় তাঁকে বহনকারী প্রাইভেটকার ভাঙচুর করেন নৌকা সমর্থকেরা। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ হলেও কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি। তবে নৌকার সমর্থক চারজনকে আটকের পর ৩৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একই রাতে নারায়ণপুর ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিদ্যুতের সামনে তাঁর প্রচার সঙ্গীকে মারধর ও তাঁদের মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ২৯ অক্টোবর শুক্রবার রাতে হামলা হয় জগদীশপুরের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজাদ রহমানের নির্বাচনী অফিসে। হামলায় আজাদসহ তাঁর দুই কর্মী মারাত্মক আহত হন। তখন থানায় অভিযোগের পরও মামলা না হলে আজাদ আত্মহত্যার হুমকি দেন। পরে নৌকার প্রার্থী তাঁর আপন চাচা তবিবর রহমান খান সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দেন।
এর আগে ২৬ অক্টোবর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে নারায়ণপুর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু হেনা মোস্তফা কামালকে দুবার হেনস্তা করা হয়। সেদিন বিদ্রোহী প্রার্থীর সামনে তাঁর ছোট ভাইকে মারপিট করা হয়। সে ঘটনায়ও থানায় অভিযোগ দেন প্রার্থী। তখন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেছিলেন মৌখিকভাবে নৌকার প্রার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি সহিংসতার ঘটনা যেন বৃদ্ধি না পায়। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।’