আইন অমান্য করে চুয়াডাঙ্গার অধিকাংশ ইটভাটায় কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। বিষয়টিকে পরিবেশের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন পরিবেশবিদরা। জেলা প্রশাসন বলছে, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত আছে। কাঠ পোড়ালে জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৯২টি ইটভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। ৩২টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকলেও বাকি ৬১টি ভাটার একটিরও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকার কারণে জেলা প্রশাসন থেকে লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন না থাকা প্রতিটি ভাটা মালিক ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্সেই ভাটাগুলোতে ইট তৈরি ও বিক্রি করছেন। জেলা ও জেলার বাইরের বনাঞ্চলের গাছ ধ্বংস করে লাখ লাখ টন কাঠ পোড়ানো হচ্ছে এসব ইটভাটায়।
জেলা প্রশাসন মাঝে মাঝে ইটভাটাগুলোতে অভিযান চালিয়ে কাঠ পোড়ানোর অপরাধে জরিমানা করে। কিন্তু কাঠ পোড়ানো বন্ধ করেন না ভাটা মালিকেরা।
ভাটা মালিকদের দাবি, সরকারের নীতিমালা মেনে ভাটা স্থাপনে তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো অনুমোদন পাচ্ছেন না।
জেলা ভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘আমরা ভাটায় কাঠ পোড়ানোর বিপক্ষে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেতে, যেসব শর্ত পালন করতে হয়, তার কোনোটিই ভাটাগুলো পালন করতে পারে না। তাই ভাটাগুলোকে ছাড়পত্র দিতে পারছে না। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে অনুরোধ করব, উন্নয়নমূলক কাজের অংশীদার হিসেবে শর্ত কিছুটা শিথিল করে ভাটাগুলোকে যেন ছাড়পত্র দেওয়া হয়।’
কাঠ ব্যবহার করে ইট পোড়ানোর কোনো সুযোগ নেই দাবি করে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘কাঠ পোড়ানো যাবে না। যেগুলোর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।’