নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের রোয়াইলবাড়ি-বঙ্গবাজার সড়কের তাঁতিপাড়া এলাকায় খালের ওপর সেতুর জায়গায় অবশেষে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এ সাঁকোটি নির্মিত হয়। এতে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে মনে করছেন তাঁরা। এ কারণেই বাঁশের সাঁকোতেই স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসীর মনে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাঁতিপাড়া এলাকায় খালের ওপর দুই পাশের রেলিংবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ পুরোনো সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কায় প্রায় দুই বছর আগে ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু মাঝখানের এই দীর্ঘ সময়ে ওই স্থানে নতুন কোনো সেতু নির্মাণ করা হয়নি। তবে একটি কালভার্ট বসানো হলেও একপর্যায়ে সেটিও ভেঙে পড়ে। আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন পথচারী, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
এ অবস্থায় স্থানীয় রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. লুৎফুর রহমান আকন্দের উদ্যোগে সম্প্রতি ওই জায়গায় একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এতে রোয়াইলবাড়ি থেকে বঙ্গবাজার হয়ে পাশের রায়বাজার আঠারো বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীদের কিছুটা সুবিধা হয়েছে। তা ছাড়া বঙ্গবাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণেই রয়েছে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের হাতে-গড়া স্কুল ‘শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ’। আর সাঁকোটি নির্মাণের ফলে পায়ে হেঁটে কিংবা সাইকেলে চেপে চলাচলকারী শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও সুবিধা পাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদল মিয়া জানান, ‘সাঁকোটি হওয়ার কারণে এলাকার মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে স্থানীয় রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. লুৎফুর রহমান আকন্দ জানান, ‘রোয়াইলবাড়ি-বঙ্গবাজার সড়কের গুরুত্বপূর্ণ তাঁতিপাড়া সেতুটি নির্মাণ করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে দিয়েছি। এতে তাদের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে।’
এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ‘রোয়াইলবাড়ি-বঙ্গবাজার সড়কের তাঁতিপাড়া এলাকায় একটি নতুন সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল চাহিদাপত্র দিয়েছেন। চলতি বছরে না হলেও আগামী অর্থবছরে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী।’