তেরখাদা (খুলনা) প্রতিনিধি
পরিবেশ আইন অমান্য করে খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের ব্যস্ততম কাটেংগা বাজার এলাকায় সোনা গলানোর কাজ চলছে। স্বর্ণালংকার তৈরির দোকানগুলোয় নাইট্রিক ও সালফিউরিক অ্যাসিড দিয়ে সোনা গলানো হয়। এ থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, অ্যাসিডের এই ধোঁয়া বিষাক্ত। চোখে জ্বালা করে। হৃদরোগীদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এ থেকে ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাটেংগা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ছোট-বড় ৩০টি সোনার দোকান রয়েছে। বিপণিবিতানে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, কাটেংগা বাজার এলাকায় এলে ধোঁয়ায় চোখ জ্বালা করে। আরবি আক্তার নামের আরেক নারী জানান, এখানে এলে হঠাৎ ধোঁয়ায় কাশি এসে যায়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি স্বপন কুমার রায় বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের অ্যাসিড ব্যবহারের লাইসেন্স আছে। অন্য কারও অ্যাসিড ব্যবহারের লাইসেন্স আছে কিনা আমার জানা নেই। আমাদের সমিতির তেমন কোনো কার্যক্রম নেই।’ কাটেংগা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ভুট্ট বলেন, ‘এ নিয়ে মানুষজনের কাছ থেকে অনেক বিরূপ মন্তব্য শুনতে হয়। এর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এর একটা ব্যবস্থা নেব।’
জানা গেছে, ২০০৪ সালের অ্যাসিড বিধি গেজেটের ১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিনা লাইসেন্সে কোনো ধরনের অ্যাসিড ব্যবহার করতে পারবে না কেউ। কিন্তু সারা উপজেলায় সোনার দোকানগুলোয় অ্যাসিড ব্যবহারের জন্য মাত্র একটি দোকানের লাইসেন্স রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাজারের জনবহুল স্থানে সোনা গলানোর জন্য অ্যাসিড ব্যবহার করা যাবে না। অ্যাসিডের ধোঁয়া পরিবেশের ক্ষতিকর। যারা এ ধরনের কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।