শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. বুলবুল আহমেদের মাসহ পরিবারের ৯ সদস্য ক্যাম্পাস ঘুরে গেলেন। এ সময় তাঁরা বুলবুলের আবাসিক হল ও লোকপ্রশাসন বিভাগে যান।
গতকাল রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে বুলবুলের মা ইয়াসমিন আক্তার, বড় ভাই-বোন, মামাসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত হন। এ সময় হল কর্তৃপক্ষ অতিথি কক্ষে তাঁদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে। এ সময় বুলবুলকে স্মরণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা।
কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার পুতরে আর পাইতাম না গো, আমার বুলবুলে আমারে মা ডাহে না গো, আমার পুত আমায় মা ডাহে না। আজকে যদি আমার ছেলে ঝালমুড়িও বেছত, তাইলে কি মারা যেত, কেউ কি মার্ডার করত? আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই।’
শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘সকালে বুলবুলের পরিবারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সে আমাদের হলের ২১৮ নম্বর কক্ষে থাকত। তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ, বই-খাতা, লেপ, তোশক, বালিশসহ প্রয়োজনীয় জিনিস পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. আমিনা পারভীনসহ বুলবুলের সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।
বুলবুলের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আপনারা আমাদের ওপর আস্থা রাখেন। কথা দিচ্ছি, আপনাদের আস্থার প্রতিদান দেব। আমরা কথা দিচ্ছি, বুলবুল হত্যার ন্যায় বিচার হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই শাবিপ্রবির গাজীকালুর টিলায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করেন। পুলিশ আবুল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর স্বীকারোক্তিতে পুলিশ কামরুল হাসান ও মো. হাসান নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে।