ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনের পেছনের গেটে লোহার পাইপের বৈদ্যুতিক খুঁটিটি ঝুঁকিপূর্ণ।
খুঁটির নিচের অংশে মরিচা ধরে ভেঙে গেছে। বাঁশ দিয়ে ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি যেকোনো সময় ভেঙে ও তার ছিঁড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এটি পরিবর্তনের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই বছর আগে লিখিত অভিযোগ দেয়। কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে আতঙ্কিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিহাব রহমান জানায়, এই বৈদ্যুতিক খুঁটি ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. কবির হোসেন বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি সরানোর জন্য বিদ্যালয় থেকে দুই বছর আগে লিখিতভাবে বিদ্যুৎ অফিসকে জানানো হয়, কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হয়।’
জেলা পরিষদ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম লিটন সিকদার বলেন, বিদ্যালয়ের ভেতরে এমন ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি মেরামত না করা দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে খুঁটিটা সরানোর জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়, কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমীন জানান, বিদ্যালয়ের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটিটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। ওখান দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কয়েক শত শিক্ষার্থীরা চলাচল করেন। এ ছাড়া টিউবয়েল ও বাথরুম ব্যহারের জন্য খুঁটিটির কাছে যেতে হয়।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) স্থানীয় বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ এই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন দেখভাল করে। কাঠালিয়া ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী দীপক মিস্ত্রি বলেন, ‘কাঠালিয়া সরকারি মডেল পাইলট বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ পুরো লাইনটি দ্রুতই সরিয়ে নেওয়া হবে।’