Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার হয়নি

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার হয়নি

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে গত বছরের বন্যায় ৫টি সেতু ও ১০টি আঞ্চলিক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব সড়ক এখনো সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা।

গত বছরের ২০ অক্টোবর ভারতের উজান থেকে আসা ঢলে দহগ্রাম ইউনিয়নে বন্যা হয়। এতে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়। প্রবল স্রোতে ফসলি জমি, চলাচলের সড়ক, সেতু ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় প্রশাসনের মতে, ওই সময় প্রায় ১৭ কোটি টাকার সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 
দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে সাকোয়া নদী বয়ে গেছে। এই নদী ভারতের মেখলিগঞ্জ থেকে দহগ্রামে প্রবেশ করেছে। গত বছরে হওয়া আকস্মিক বন্যায় দহগ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সৃষ্টিয়ারপাড় এলাকার সাকোয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর দুদিকের সংযোগ সড়ক ধসে গেছে।

একই ওয়ার্ডের সর্দারপাড়া তিস্তা নদীর ক্যানেলের ওপর নির্মিত সেতুর দুদিকে ফাটল ধরেছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। একই ওয়ার্ডের কলোনিপাড়া থেকে দাখিল মাদ্রাসাগামী পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুই নম্বর ওয়ার্ডের ওলেরপাড় ও ডাঙ্গাপাড়া এলাকা হয়ে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত  সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমবাড়ী মহিমপাড়া এলাকার কালভার্ট ভেঙে গেছে। দহগ্রামের নয়ারহাটগামী পাকা রাস্তা থেকে গুচ্ছগ্রামে যাওয়ার দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী। বৃষ্টি আর বন্যায় সড়কটির অনন্ত ৮-১০ জায়গায় ভেঙে গেছে। সড়কের কালভার্টটিও ভেঙে গেছে, সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়ায় বেশ কষ্টে চলাচল করে এখানকার বাসিন্দারা।

৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গেরবাড়ী থেকে নতুনহাট এলাকায় সাকোয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটির রেলিং ভেঙে গেছে। ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর দিকের সংযুক্ত পাকা সড়কও ভেঙে গেছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাড়িপাড়া-সৈয়দপাড়া সাকোয়া নদীতে সেতুটির উত্তর দিকের অংশ দেবে গেছে। এই ওয়ার্ডের সৈয়দপাড়া থেকে হাবিব চেয়ারম্যানের বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা বন্যা ও বৃষ্টিতে গর্ত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংযুক্ত এলাকার কাজীপাড়া-মমিনপুর মাদ্রাসা এলাকার সাকোয়া নদীর ওপর সেতুটি দুদিকের সংযোগ সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাতিপাড়া থেকে মতিয়ারের বাড়ি পর্যন্ত কাবিখার রাস্তাটি দেবে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গ্রাম-এলাকা ঘুরে অনেক বাড়িতে বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকার বিষয়টি জানা গেছে।

দহগ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আল আমিন বলেন, ‘পুরো দহগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক তিস্তা ও সাকোয়া নদীর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সেতু নষ্ট হয়ে সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। সেতু ও সড়কের জন্য খুব কষ্ট করে আমাদের চলাচল করতে হয়।’

পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব-উল আলম বলেন, ‘২০২১ সালের অক্টোবরে আকস্মিক বন্যায় দহগ্রাম ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতু সংস্কারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অনুমোদনও হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।’

দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সড়ক ও সেতু সংস্কার করা জরুরি। স্থানীয় প্রকৌশলী, সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’ 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ