হোম > ছাপা সংস্করণ

‘অগ্নিগর্ভ দেশ পথে নেমেছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘কলকারখানায় বাজছে না বাঁশী। মানুষ নেই অফিস আদালতে। অগ্নিগর্ভ দেশ আজ পথে নেমেছে। এক দুই করে কাল কেটে গেছে চারদিন। প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করায় দেশ অগ্নিগর্ভ। বেসামরিক শাসন ব্যবস্থা যেন ভেঙ্গে পড়েছে।

স্বাধিকার আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছে মানুষ রংপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকায়—বিক্ষুব্ধ এই বাংলাদেশে—।’ এই ছিল ১৯৭১ সালের ৪ মার্চে বাংলাদেশের চিত্র, যা প্রকাশ করেছিল পরদিন দৈনিক পাকিস্তান।

পত্রিকাটির প্রধান প্রতিবেদনের ওই ইন্ট্রো বা সূচনার নিচেই পাশাপাশি আলাদা ছোট শিরোনাম ছিল ‘চট্টগ্রামঃ ১২০ জন নিহত’, ‘ঢাকাঃ বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে’ এবং ‘খুলনাঃ ৭ জন নিহত’। প্রধান শিরোনামের ডান দিকে দুই কলামজুড়ে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিবৃতি, যার শিরোনাম ছিল, ‘মুক্তি সংগ্রাম যে কোন মূল্যে চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবেঃ মুজিব’।

গণবিক্ষোভে উত্তাল ছিল ১৯৭১ সালের ৪ মার্চ। ওই দিন সামরিক জান্তার কারফিউ ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে এসেছিল লাখো মানুষ। হরতাল চলাকালে খুলনায় সেনাবাহিনীর গুলিতে ছয়জন শহীদ হন। চট্টগ্রামে দুই দিনে প্রাণহানি ঘটে ১২১ জনের। ঢাকায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় হরতালে দমন-পীড়নের নিন্দা জানানো হয়। ওই দিন ছিল দেশব্যাপী লাগাতার হরতালের তৃতীয় দিন। লাগাতার হরতালে ঢাকাসহ সারা দেশ অচল হয়ে পড়ে।

অগ্নিঝরা মার্চের ৪ তারিখেই কার্যত কায়েম হয়ে গিয়েছিল দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন। পরদিন ঢাকার সংবাদপত্রগুলোতে তা ফুটে উঠেছিল স্পষ্টভাবে। দৈনিক ইত্তেফাক সেদিন আট কলামজুড়ে রিভার্সে প্রধান শিরোনাম করেছিল, “জয় বাংলার’ জয়”। নিচে ছিল বঙ্গবন্ধুর ছবি। প্রধান প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, ‘“ক্ষমতার দুর্গ” নয়, জনগণই যে দেশের সত্যিকার শক্তির উৎস, বাংলাদেশের বিগত তিনদিনের ঘটনাবলী তাহাই নিঃসন্দেহভাবে সপ্রমাণিত করিয়াছে। “অস্ত্রের ভাষার” মোকাবিলায় স্বাধিকারকামী নিরস্ত্রের সংগ্রাম প্রথম পর্বে জয়যুক্ত হইয়াছে।’

একাত্তরের মার্চে দিন যত গড়াচ্ছিল, ততই তীব্র হচ্ছিল বাঙালির বিক্ষোভ-দ্রোহ। লাগাতার হরতালের তৃতীয় দিনে ৪ মার্চ রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্র ‘ঢাকা বেতার কেন্দ্র’ এবং পাকিস্তান টেলিভিশন ‘ঢাকা টেলিভিশন’ হিসেবে সম্প্রচার শুরু করে।

বেতার-টেলিভিশন-চলচ্চিত্রশিল্পীরা এক বিবৃবিতে ঘোষণা করেন, যত দিন পর্যন্ত দেশের জনগণ ও ছাত্রসমাজ সংগ্রামে লিপ্ত থাকবেন, তত দিন পর্যন্ত বেতার ও টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তারা অংশ নেবেন না। ওই বিবৃবিতে সই করেছিলেন লায়লা আর্জুমান্দ বেগম, আফসারী খানম, আতীকুল ইসলাম, ফেরদৌসী রহমান, মুস্তফা জামান আব্বাসী, গোলাম মোস্তফা, হাসান ইমাম, জাহেদুর রহিম, আলতাফ মাহমুদ, ওয়াহিদুল হক, এ এম হামিদসহ আরও কয়েকজন।

একাত্তরের ৪ মার্চের অগ্নিগর্ভ বাংলার ঘটনাবলি নিয়ে পরের দিন প্রধান শিরোনাম করেছিল কলকাতার যুগান্তর পত্রিকাও। শিরোনামটি ছিল, ‘পূর্ব পাকিস্থানে পথযুদ্ধে একশ জন নিহত: নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষ’।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন