গত বছরটা যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকেই নতুন বছরটা শুরু করে ওমিক্রন। করোনার অতি সংক্রামক এ ধরনের কারণে সংক্রমণ একের পর এক রেকর্ড ভেঙেই যাচ্ছে। তবে এবার ইউরোপ থেকে সরে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হু হু করে বাড়ছে। গতকাল সংক্রমণে নতুন রেকর্ড দেখেছে দেশটি। এমনকি হাসপাতালে ভর্তিও বেড়েছে অনেক গুণ। ভারতেও দৈনিক শনাক্ত হচ্ছে দেড় লাখের বেশি। সংক্রমণ রুখতে বিধিনিষেধ আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
৫ জানুয়ারি থেকেই সারা বিশ্বে দৈনিক সংক্রমণ ২০ লাখের বেশি। গতকাল মঙ্গলবার পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২১ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বেশি শনাক্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সোমবার দেশটিতে এক দিনে শনাক্ত হয়েছে ১৩ লাখের বেশি, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল এ মাসেই, গত ৩ জানুয়ারি ১০ লাখ।
ওমিক্রন ডেলটার চেয়ে বেশি সংক্রামক হলেও হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি কম বলে জানান গবেষকেরা। তবে মৃত্যু কম হলেও করোনায় হাসপাতালে ভিড় বাড়ছেই। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সাম্প্রতিক তথ্য সে কথাই বলছে। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৬ করোনা রোগীকে। এর আগে এক দিনে করোনায় এর বেশি রোগী ভর্তি হয়নি। গত বছরের জানুয়ারিতে প্রায় কাছাকাছি ভর্তি হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি বাড়ছে ফ্রান্সেও। তবে সংখ্যাটা এখনো ভয়াবহ নয়।
চীনে লকডাউন
ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারও লকডাউনের পথে হাঁটছে চীনের অনেক শহর। এবার লকডাউন দিয়েছে কেন্দ্রীয় চীনের শহর আনিয়াং। গতকাল সোমবার থেকে ৫০ লাখ বাসিন্দার এ শহরের সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। হেনান প্রদেশে ওমিক্রন শনাক্তের পর এ সিদ্ধান্ত। হেনানের আরও দুই শহরে চলছে কড়া বিধিনিষেধ। এর আগে ইউজু ও তিয়ানজিন শহরে দেওয়া হয় লকডাউন।
দিল্লিতে বেসরকারি অফিস বন্ধ
গতকাল ভারতে দৈনিক সংক্রমণ কমলেও তা দেড় লাখের বেশিই ছিল। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৩ জন, যা আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ কম। তবে বিধিনিষেধ আরও কড়াকড়ি করেছে দেশটি। বিশেষ করে দিল্লিতে। সব বেসরকারি অফিস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। সবাইকে ঘরে বসে কাজ করতে হবে। সরকারি অফিসে অর্ধেক কর্মী থাকা যাবে। তবে লকডাউন দেওয়া হবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।