নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের দুর্গম পথ দিয়ে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে গরু আনছে অসাধু কারবারিরা। সর্বশেষ গত বুধবার বিকেলে ২৫টি গরুর একটি চালান জব্দ করেছেন জেলার আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। উপজেলার নয়াপাড়া ইউনিয়নের বাবুপাড়া থেকে এসব গরু জব্দ করেন তিনি।
জানান গেছে, মিয়ানমারের রামপুর থেকে আনা গরুর একটি চালান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের দুর্গম পথে আলীকদম বাজারে নিয়ে যাচ্ছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। খবর পেয়ে নয়াপাড়া ইউনিয়নের বাবুপাড়া থেকে চালানটি জব্দ করেন আলীকদম ইউএনও মেহরুবা ইসলাম।
ইউএনও মেহরুবা ইসলাম বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আনা ২৫টি গরু জব্দ করা হয়েছে। গরুর মালিকের কাছে বৈধ কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এ সব গরু থানা সোপর্দ করা হয়েছে।’
নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী না প্রকাশের শর্তে বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ২৮ থেকে ৩০ জন মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গরু আনার কাজ করে। তাঁদের অধিকাংশের বাড়ি কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া এলাকায়। বাকিরা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ও দোছড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
ব্যবসায়ীরা জানান, অসাধু ব্যবসায়ীরা ৫টি গ্রুপে কাজ করে। এ মধ্যে ৩টি গ্রুপ এখন আলীকদম-নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টের দুর্গম একটি পথ বেছে নেয়। ভুয়া কাগজ তৈরি করে ওই পথে গত ১ মাসে অন্তত ২০০ গরু এনে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে পার্শ্ববর্তী রামুর গর্জনিয়া বাজার ও আশপাশের বাজারে বিক্রি করছে।
জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ হোসেন জানান, তিনি শুনেছেন আলীকদম পয়েন্ট দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা হচ্ছে, তবে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চেষ্টা করা হয়েছিল, পারেনি। এখন অন্য পয়েন্টে গেছে তারা।
তিনি বলেন, গরু চোরাচালান বিষয়ে খোঁজখবর নিতে ইতিমধ্যে সীমান্ত পয়েন্টে লোক লাগিয়েছেন। যাচাই করে কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।