চট্টগ্রামে দুর্নীতি মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে আরও দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাক্ষ্যদাতারা হলেন সাবেক কক্সবাজার সদর সাব-রেজিস্ট্রার শাহ আশরাফ উদ্দীন ও সাবেক চট্টগ্রাম সদর সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম।
দুদকের পিপি মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন আসামিদের নামে কক্সবাজার সদর ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালিতে দুটি পৃথক জমি রেজিস্ট্রি হয়েছিল। দলিলের সার্টিফায়েড কপি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দুই সাব-রেজিস্ট্রার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে ১২ সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিলেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালত ১৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকমো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে মামলা করেন ৷
গত বছরের ২৬ জুলাই দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পত্তি অর্জনের মামলায় প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র দেয়। একই বছর ১৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ গঠন হয়।
প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রে অবৈধ আয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি ও পাঁচলাইশ থানার ষোলোশহরের একটি বাড়ি, একটি ব্যক্তিগত গাড়ি, একটি মাইক্রোবাস, ৪৫ ভরি স্বর্ণ, কক্সবাজারে চুমকির নামে একটি ফ্ল্যাট। বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রদীপ দম্পতির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হদিস মেলে। যার মধ্যে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী বলে আয়কর নথিতে উল্লেখ করলেও তার সমর্থনে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।