বাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হক ক্যানেলের দুই পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাশেদুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলার বোয়ালিয়া ভ্যানস্ট্যান্ড থেকে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়। গতকাল অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিন কাঁচা-পাকা, আধা পাকা, কাঠ ও একতলা ভবনসহ ৫০ টির বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পর্যায়ক্রমে এই ক্যানেলের দুই পাশে থাকা শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। অন্য অবৈধ স্থাপনা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে উচ্ছেদ মেষ হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, অবৈধ স্থাপনার কারণে চিতলমারী বাজারসংলগ্ন হক ক্যানেল এক কিলোমিটারের খনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। ফলে তাঁরা হক ক্যানেলের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করা হয়েছে। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে এই উচ্ছেদ অভিযান শেষ হবে বলে আশা করেন তিনি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সারা দেশে নদীর জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলছে। তারই অংশ হিসেবে তাঁরা চিতলমারী হক ক্যানেলের দুই পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছেন।
নাব্যতাসংকট নিরসনে হক ক্যানেল খননের উদ্যোগ নেয় সরকার। দরপত্র আহ্বান, ঠিকাদার নির্বাচনসহ সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু সম্প্রতি ঠিকাদারের লোকজন খাল খনন করতে গেলে অবৈধ দখলদারদের বাধার মুখে ফিরে আসেন। এরপরেই খালের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্ম্যে ১২ কিলোমিটার খালটি এখন ছোট নালায় পরিণত হয়।