Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

তিন গ্রামে কান্নার রোল ৪ জনের দাফন সম্পন্ন

মোহাম্মদ উজ্জ্বল, মহম্মদপুর (মাগুরা)

তিন গ্রামে কান্নার রোল ৪ জনের দাফন সম্পন্ন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এফভি মাগফেরাত নামের জাহাজডুবির ঘটনায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার চারজনের লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।  লাশগুলোর মধ্যে উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মন্ডলগাতী গ্রামের দুটি, নহাটা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের একটি এবং বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদাহ গ্রামের একটি রয়েছে।

গতকাল শনিবার ভোরে লাশগুলো নিজ নিজ গ্রামে পৌঁছালে পরিবারের স্বজনদের কান্নার রোল ও আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। তিনটি গ্রামে চলে মাতম। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে মন্ডলগাতী ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তিনজনের লাশ মন্ডলগাতী গোরস্থানে দাফন করা হয়।

এই তিনজন হলেন উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মন্ডলগাতী গ্রামের মৃত খসরু বিশ্বাসের ছেলে সুরুজ বিশ্বাস (১৯) ও নুরুল মোল্লার ছেলে শিমুল মোল্লা (৩০) এবং নহাটা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের মণির মোল্লা (২০)।

এ ছাড়া বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদাহ গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে নাজমুল হাসানকে (২৭) নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে। মন্ডলগাতী গ্রামের নুরুল মোল্লার আরও এক ছেলে জাহিদুল মোল্লা (২৫) এবং একই গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে মহম্মদ হোসেন (৪০) এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে তাদের পরিবার দাবি করেছে।

এফভি মাগফেরাত ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ হন মহম্মদপুরের ছয় ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে এ জাহাজডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে গতকাল। এই নিয়ে  সাত জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

শনিবার সকালে কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। গতকাল উদ্ধার হওয়া মৃত ব্যক্তিরা হলেন ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ চর আইসা গ্রামের আবদুল মোতালেব (৬০) ও জাহাজের গ্রিজার প্রদীপ চৌধুরী (৫৫)।

জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের যশোবন্তপুর গ্রামের রুবেল এবং একই উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের রবিউল ইসলাম রয়েছেন। জাহাজ থেকে বেঁচে ফেরা নিহত মণির মোল্লার ভাই রবিউল ইসলাম জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই জাহাজটি ডুবে যায়। প্রাণে বেঁচে গেলেও ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বারবার কেঁদে উঠছিলেন।

গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, সহোদর শিমুল ও জাহিদুল, মণির, সুরুজ, নাজমুল এবং মহম্মদ হোসেনের বাড়িতে মাতম চলছে। পরিবারের সদস্য ও স্বজনেরা শোকে পাগলপ্রায়। কেউ কেউ মূর্ছা যাচ্ছেন।

মন্ডলগাতী গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘মন্ডলগাতী গ্রামের নিহত দুজন এবং পার্শ্ববর্তী খলিশাখালী গ্রামের নিহত একজনের জানাজা একই সঙ্গে মন্ডলগাতী ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে সারিবদ্ধভাবে কাঁধে করে তাঁদের তিনজনের মরদেহ মন্ডলগাতী গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’

পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ সিকান্দার আলী বলেন, ‘এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া উচিত।’ মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ‘এ ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার মতো নয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে সাধ্যমতো সহযোগিতা করা হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ