দুই হাতে ভর করে চলাফেরা করে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার রাহুল মিয়া। হামাগুড়ি দিয়েই যেতে হয় বিদ্যালয়ে। তবে এতেও দমে যায়নি তার ইচ্ছা। এভাবে চলাফেরায় কষ্ট হলেও হাসিমুখে মানিয়ে নিতে শিখে গেছে সে। স্বপ্ন লেখাপড়া করে ভালো মানুষ হওয়ার।
রাহুল মিয়া পৌর সদরের সৈয়দগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের হিসাম উদ্দিনের ছেলে। জন্মের দুই বছর পর থেকেই এভাবেই চলছে সে। বর্তমানে তার বয়স ১০। সে সৈয়দগাঁও পূর্বপাড়া মনিরুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ছে।
পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, জন্মের দুই বছর পর খিঁচুনি হয় রাহুলের। এরপর দুই পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ অবশ হয়ে যায়। টানাপড়েনের সংসারে জমানো টাকা খরচ করে কিছুদিন চিকিৎসা চলে তার; কিন্তু অর্থাভাবে বেশি দূর চিকিৎসা এগোয়নি। এরপর থেকে অবশ হয়ে যাওয়া দুই পা নিয়ে দুই হাতে ভর করে চলাফেরা করছে সে।
যে বয়সে অন্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মেতে থাকার কথা, ছোটাছুটি-দৌড়াদৌড়ির কথা, সে সময়ে হামাগুড়ি দিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে তাকে।
মা নাছরিন আক্তার বলেন, একটি হুইলচেয়ার হলে চলাফেরায় তার কষ্টটা কম হতো।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’