গাইবান্ধার বাজার শীতকালীন তাজা সবজিতে ভরপুর। তবে দাম বেশি। ভরা মৌসুমে এমন দামে হতাশ ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, অন্যান্য বছর শীতের এই সময়ে সবজি ছিল হাতের নাগালে। এবার কাঁচাবাজারের হিসাব মেলানো যাচ্ছে না।
পৌর শহরের পুরাতন বাজারে কেনাকাটা করতে আসা রিকশাচালক ফিরোজ বলেন, ‘শীতের সময় সবজির দাম প্রতিবছরই কম থাকে। তবে এবার কয়েক গুণ বেশি। গত বছর এ সময় ফুলকপি প্রতি পিস বিক্রি হতো পাঁচ টাকায়। এখন বাজারে পিস নয়, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এমন কিছু নাই যে দাম বাড়ে নাই। গরিব মানুষের অবস্থা কাহিল।’
শহরের হকার্স মার্কেট এলাকায় বাজার করতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জারত শরীরলোত কোনা কাঁপনি ধরছে। কিন্তু জিনিসপাতির দাম শুনে গাও গরম হয়ে যায়। দেশোত মনে গরিব মানুষ মারা কারখানা আছে। সারা দিন কামাই করে হয় চার-পাঁচ শ টেকা। এই টেকা কোনা নিয়ে বাজারত আলে চাউল কিনলে কাঁচা তরকারি কেনা যায় না। যদি তরকারি কিনি, তাহলে চাউল কেনা যায় না। গরিব মানুষের কষ্ট কেউ বুজবে না।’
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শিম ৬০ টাকা, আলু ৪০, গাজর ৩০, টমেটো ৪০ ও বেগুন ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এমন দামে হতাশ ক্রেতা আজিজার রহমান বলেন, ‘শীতোত তো শাকসবজির দাম কম হওয়ার কথা। বাজারত উঠছে বেশি, তা-ও এত দাম। এত টেকা দিয়ে কেমনে কিনে খামো?’
এ নিয়ে কথা হলে পুরাতন বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সোহেল রানা প্রশ্ন করেন, কম দামে কিনতে না পারলে কম দামে বিক্রি করবেন কীভাবে? আরেক ব্যবসায়ী বালু মিয়া জানান, কৃষকেরা চড়া দামে সার-বীজ কিনে ফসল উৎপাদন করে বেশি দামে বিক্রি করছেন।