তাঁর বয়স ৮৫ বছর। নিজে থেকে চলার শক্তি নেই। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট না দিয়ে থাকতে মন মানছিল না। শেষে ছোট ভাইয়ের কোলে চড়ে এলেন তিনি।
গতকাল রোববার সকালে বদরগঞ্জের লোহানীপাড়া ইউনিয়নের মণ্ডলের হাট লোহানীপাড়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এভাবেই ভোট দিতে আসেন আয়েশা বেগম। ছোট ভাই আলিম মণ্ডল কোলে করে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন তাঁকে। ভোট দিতে পেরে খুশি বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই নারী। যেন তাঁর ইচ্ছে পূরণ ঘটল।
ভোট দেওয়া শেষে আয়েশা বলেন, ‘অনেক দিন থাকি অসুকোত ভোগোছো। পরের ভোট আসতে আসতে বাঁচি থাকিম না থাকিম তার ঠিক নাই। এদ্দিন থাকি ভোট দিয়া আলছি, আইজও ভোট দিবার মনটা চাইল। ভাইয়োক কনু তা ধরি আইল। ভোট দিয়া মনটা ভরিল।’
গতকাল উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। কেন্দ্রের বাইরে উৎসবে মেতেছিলেন নানা বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ।
অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি র্যাব ও এপিবিএন সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
রংপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংখ্যক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা দায়িত্বে ছিলেন।