মেহেরপুরের গাংনীতে চার দিনে অন্তত ২০০টি পদ্মগোখরা সাপের দেখা মিলেছে। এর মধ্যে দেড় শ সাপ জীবিত ধরা হয়েছে। স্থানীয়দের হাতে মারা পড়েছে অন্তত ৫০টি। গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত উপজেলার চারটি গ্রামে এসব সাপের দেখা মেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন সাপ-আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার উপজেলার ভরাট গ্রামের একটি বাড়িতে মা সাপসহ অন্তত ২২টি সাপ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৩টি বাচ্চা মারা পড়ে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে জীবিত সাপ ধরছেন সাপুড়ে।
ভরাট গ্রামের ইয়াছিন আলী বলেন, শুক্রবার আমার মাটির ঘরে কয়েকটা সাপের বাচ্চা দেখা যায়। এরপর ঘর খুঁড়তে খুঁড়তে মা সাপসহ ২২টি পদ্মগোখরো পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৩টি মেরে ফেলা হয়।
উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের সাপুড়ে মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২০০ পদ্মগোখরো সাপের দেখা মেলে। এর মধ্যে প্রায় ৫০টি মেরে ফেলা হয়েছে। বাড়ির লোকজন মাটির ঘরে সাপ ঘোরাঘুরি করতে দেখে লোকজনকে সংবাদ দিলে তাঁরা এসে ঘর খুঁড়তে থাকেন। একে একে বেরিয়ে আসা মা সাপসহ ১৫০টি পদ্মগোখরো জীবিত ধরা হয়।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রানী জানান, সাপে দংশনের পর অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা রোগীকে কবিরাজের কাছে নিয়ে ঝাড়ফুঁক করে সময় নষ্ট করেন। ফলে সচেতনতার অভাবে সাপের ছোবলে রোগী মারা যান। সাপে দংশনের সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে।