নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ কিশোরী রাহিমার (১৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে শহরের নিতাইগঞ্জ এসএমসি ঘাট এলাকায় তার লাশ ভেসে ওঠে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দুপুরে স্থানীয় লোকজন নদীতে লাশ ভাসতে দেখে আমাদের খবর দেন। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন লাশটিকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন। পরে এই মেয়েই রাহিমা বলে নিশ্চিত হন তার পরিবারের সদস্যরা।’
নিহত কিশোরীর নাম রাহিমা (১৭)। সে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ভিটাকান্দি এলাকার জয়নাল আবেদীনের মেয়ে। রাহিমা গজারিয়া কলিমুল্লাহ কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।
রাহিমার মামা মোজাম্মেল প্রধান বলেন, গত শনিবার বিকেলে রাহিমা তার বড় ভাই ও ভাবিকে নিয়ে চাষাঢ়া পপুলারে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার সময় একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে তাঁদের নৌকা ডুবে যায়। এ সময় রাহিমার ভাই ও ভাবি সাঁতার কেটে নদীর পাড়ে উঠতে পারলেও সে আর উঠতে পারেনি।
এদিকে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত নৌকার মাঝি খোকন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তার বাল্কহেডের চার স্টাফকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাল্কহেডের মিস্ত্রী রুহুল আমিন, স্টাফ মিরাজ, ফকির হোসেন ও বাবুর্চি আজমীর হোসেন।
গত ৫ মার্চ বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর খেয়াঘাট থেকে যাত্রবাহী একটি নৌকা সেন্ট্রাল খেয়াঘাটের দিকে যাওয়ার সময়ে এমভি আলী নামে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। এসময় ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রীদের উদ্ধার করতে গিয়ে আরও একটি নৌকা ডুবে যায়। এ সময় নৌকায় থাকা ২০-২৫ জন যাত্রী নদীতে পড়ে যায়। পরে আশপাশের নৌকা ও ট্রলার দ্রুত তাদের উদ্ধার করে।
তবে সে সময় দুইজন নিখোঁজের কথা বলা হলেও কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। পরে কয়েক দফা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর আজ একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। বাকিজনের কোনো খোঁজ এখনো মেলেনি।