ক্লিন শিট—ফুটবলে বেশ পরিচিত শব্দ। সহজভাবে বললে, গোলপোস্ট অক্ষত রাখলে বলা হয় ক্লিন শিট। গোলরক্ষক যদি কোনো গোল হজম না করে ম্যাচ শেষ করেন, তবে তাঁর নামের পাশে যুক্ত হয় ক্লিন শিটের সংখ্যা।
২০২৩-২৪ মৌসুম শেষ হতে চলল। ইতিমধ্যে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে শুধু শিরোপা নিষ্পত্তি হয়েছে বুন্দেসলিগায়। লা লিগা, সিরি আ ও লিগ আঁতেও শিরোপা একপ্রকার মীমাংসিত হয়ে আছে। তবে এখনো আগের মতো লড়াই চলছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে।
ফুটবলে মূল আকর্ষণটা থাকে গোলদাতাদের দিকে। তবে কখনো কখনো নায়ক হয়ে ওঠেন গোলরক্ষকেরাও। সেটি পেনাল্টি-টাইব্রেকার শট ঠেকিয়ে হোক বা ম্যাচে অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় সেভ করে। অবশ্য টাইব্রেকারে সেভের হিসাব ক্লিন শিটে যোগ হয় না। বেয়ার লেভারকুজেনের প্রথম বুন্দেসলিগা জয়ের পথে যতটুকু না ফ্লোরিয়ান উইর্টজ-ভিক্টর বোনিফেসদের প্রশংসা শোনা যাচ্ছে, ততটা শোনা যায়নি লুকাস হ্রাডেচকিকে নিয়ে। অথচ বে অ্যারেনার ফিনিশ এই গোলরক্ষক লিগের ২৯তম রাউন্ড পর্যন্ত ২৮ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ১৪ বার ক্লিন শিট ছিলেন, যা দুইয়ে থাকা স্টুটগার্টের আলেক্সান্দার নুবেলের চেয়ে ৫টি বেশি।
এ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে লেভারকুজেনের টানা ৪৪ ম্যাচ অজেয় থাকার পেছনে হ্রাডেচকিকের অবদান কম নয়। ফুটবল পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ট্রান্সফারমার্কেটের হিসাবে, এ মৌসুমে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে মোট ক্লিন শিট হয়েছে ৭৮৬টি। গোলপোস্টের নিচে দেখা গেছে ভিন্ন ভিন্ন ১৭৯ গোলরক্ষককে। যেখানে প্রিমিয়ার লিগে ক্লিন শিট করেছেন ১৩৮টি, লা লিগায় ১৯১, সিরি আয় ১৮৬, বুন্দেসলিগায় ১১৬ ও লিগ আঁয় ১৫৭। তবে গোলরক্ষকদের সবাই ক্লিন শিট রাখতে পারেননি।
গত পাঁচ মৌসুমের হিসাবে, ক্লিন শিটে প্রিমিয়ার লিগের চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু লা লিগা। কোনো মৌসুমে এ সংখ্যা কমেছে তো কোনো মৌসুমে বেড়েছে। ধারাবাহিকভাবে আগের চার মৌসুমে ক্লিন শিটের সংখ্যা বেড়েছে শুধু সিরি আয়। এ মৌসুমে ৩০ ম্যাচে ১৭ ক্লিন শিট নিয়ে সবার শীর্ষে সিরি আর ক্লাব ইন্টার মিলানের সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ ক্লিন শিট আর্সেনালের ডেভিড রায়ার (২৭ ম্যাচে ১৩)। লা লিগায় শীর্ষে থাকা অ্যাথলেতিক বিলবাওয়ের উনাই সিমোনের ক্লিন শিটের সংখ্যা ৩১ ম্যাচে ১৫। আর লিগ আঁয় শীর্ষে থাকা নিসের মার্সিন বুলকা গোলপোস্ট অক্ষত রেখেছেন ২৯ ম্যাচে ১৬ বার।