ছাতক সরকারি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে গত বৃহস্পতিবার।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ছাতক ডিগ্রি কলেজ ২০১৮ সালে সরকারিকরণ করা হয়। সরকারি নিয়মেই এ কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষক কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পেয়ে আসছেন। কলেজটি সরকারিকরণ হওয়ার পর এটি মাউশি নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে। এ কলেজের অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন আহমদ অবসর গ্রহণের পর ২০১৯ সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন মো. আব্দুস সাত্তার। গত ১২ জানুয়ারি তিনিও অবসরে চলে যান। এ সময় নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (হিসাব বিজ্ঞান) মো. বেলাল আহমদকে। এতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক তুলসী চরন দাস।
গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সিলেট ও ছাতকের ইউএনও বরাবর এক স্মারকলিপি দেন তুলসী চরন দাস। অভিযোগ পত্রে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে মো. বেলাল আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তুলসী চরন দাসের নিয়োগ অবৈধ।’
বিদায়ী অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সাত্তার জানান, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বেলাল আহমদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি।
মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সিলেটের পরিচালক অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান খান বলেন, ‘ছাতক সরকারি কলেজে যিনি নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা নেই।’
ছাতক ইউএনও মামুনুর রহমান জানান, মাউশি থেকে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এই নির্দেশনা তিনি কলেজে পাঠিয়েছেন। যদি নিয়োগে অনিয়ম হয় তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।