উৎকোচ নিয়ে অবৈধ ছাড়পত্র দেওয়া রাজস্ব আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নগরীর আন্দরকিল্লায় পুরোনো নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় মেয়র বলেন, ‘অতীতে কোনো কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারীর বিরুদ্ধে রাজস্বদাতার কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে অবৈধ ছাড় দেওয়ার অভিযোগ ছিল। এসব প্রমাণিতও হয়েছে। যাঁরা অবৈধভাবে চসিকের রাজস্ব আদায়ের পরিধি সংকুচিত করেছে তাঁরা প্রাপ্য শাস্তি পায়নি। এবার আমি তা হতে দেব না। রাজস্ব আদায়ে অনিয়ম করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, একটি তিনতলা বাড়ি যে হারে রাজস্ব দিত বাড়িটি পাঁচ তলা হলেও আগের হারে রাজস্ব দিচ্ছে। এই বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজস্ব আদায়কারীর চোখে না পড়লে দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করা অবান্তর হতে পারে না।
অ্যাসেসারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা অ্যাসেসমেন্ট করতে গিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে অযৌক্তিক কর নির্ধারণ করার ফলে যে সমস্ত করদাতারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাঁদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন মেয়র। পাশাপাশি সমাজের অসহায়, বিধবা ও অতিদরিদ্রদের কর দিতে চাপ না দেওয়ার জন্যও সার্কেল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
মেয়র বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব আয়ের উৎস হচ্ছে রাজস্ব খাত। চসিকের ব্যয়ের বিস্তার ও পরিধি বাড়লেও আনুপাতিক হারে রাজস্ব আয়ের পরিধি বাড়েনি। কারণ এর ওপর নির্ভর করে থাকা যায় না। তাই এই খাতের গতিশীলতা ও পরিধি বাড়ানো প্রয়োজন।’
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, অর্থ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. শহিদুল আলম, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, এম. আশরাফুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরী।