রংপুরের বদরগঞ্জে চিকলী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে কাঁচা রাস্তা। হুমকিতে রয়েছে খেলার মাঠ, ফসলি জমিসহ চার শতাধিক ঘরবাড়ি। উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের আমরুলবাড়ি তুফানুপাড়া ও ইন্দিরা পাড়ায় নদীর এ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, তুফানুপাড়া গ্রামে প্রায় ৫০০ মিটার চিকলী নদীর ভাঙনে খেলার মাঠের ২০ শতাংশ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে ওই গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি, অর্ধশত কবর, আবাদি জমি, পাকা সড়ক ও একটি মসজিদ।
তুফানুপাড়া গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, দামোদরপুর ইউনিয়নের একমাত্র খেলার মাঠ এই গ্রামে। মাঠটি ভাঙনের মুখে পড়েছে। এখনই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বিলীন হয়ে যাবে মাঠটি। মাঠ ঘেঁষে রয়েছে অর্ধশতাধিক কবর। কবরগুলোও নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আমরুলবাড়ি গ্রামের মমিনুল ইসলাম বলেন, দামোদপুর ইউনিয়নে তুফানুপাড়ার মাঠ ছাড়া আর কোনো খেলার মাঠ নেই। এই মাঠে ফুটবল, ক্রিকেটসহ যাবতীয় খেলাধুলা চলে। এই মাঠে একাধিকবার খেলা উদ্বোধন করতে এসেছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। তাঁরা মাঠ রক্ষার আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কেউ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখেননি।
তুফানুপাড়ার জগীন্দ্র নাথ বলেন, ‘বাড়ির কাছাকাছি নদীভাঙন চলে এসেছে। সব সময় আমরা ভয়ে থাকি, কখন নদীতে বাড়িঘর ভেঙে পড়ে।’
এদিকে ইন্দিরা পাড়ার কালীরহাট এলাকার একটি কাঁচা সড়ক চিকলী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে একটি গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি। এ ছাড়া ভাঙনের মুখে পড়েছে সাত কোটি টাকার সেতু। ইন্দিরাপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস বলেন, নদীভাঙনে গ্রামে যাওয়া কাঁচা রাস্তাটি ইতিমধ্যে নদীতে চলে গেছে। এখন অনেকটা ঘুরে বদরগঞ্জ শহরে যেতে হচ্ছে। এতে সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। ওই এলাকার আব্দুল হক বলেন, ইন্দিরাপাড়ার কাঁচা রাস্তা দিয়ে তারাগঞ্জের মানুষও চলাচল করত। নদীভাঙনের কারণে তাঁদের ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়েছে। ভাঙন রোধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর ওপর নির্মিত সেতুটিও ভাঙনের মুখে পড়বে।
উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বাপ্পি বলেন, ‘ওই এলাকা পরিদর্শন করে সেতু হুমকির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’