অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার মৎস্য অধিদপ্তরের অফিস ভবনের ছাদের পলেস্তারা হঠাৎ হঠাৎ খসে পড়ছে। ভবনের একাধিক স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। বৃষ্টি হলেই এসব ফাটল দিয়ে পানি পড়ে। ছাদের পলেস্তারা খসে বেরিয়ে পড়ছে রড।
অফিসের কর্মীরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে মেরামত করার কথা থাকলেও প্রতিকার নেই। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তাঁরা অফিস করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অষ্টগ্রাম পুরাতন উপজেলা কমপ্লেক্সের উত্তর পাশে দ্বিতল ভবনটি ১৯৮৩ সালে নির্মাণ করা হয়। ভবনের দোতলার পূর্ব দিকে দুটি কক্ষে উপজেলা মৎস্য অফিস বরাদ্দ পায়। এরপর সর্বশেষ কবে এই ভবন মেরামত করা হয়েছে এই তথ্য জানা যায়নি। পুরোনো এ ভবনে তিন-চার বছর ধরে ছাদ বেয়ে মেঝেতে বৃষ্টির পানি পড়ে। যখন-তখন খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। গত বছর থেকে ভবনে ছাদের তিনটি ভিমে ফাটল দেখা দেয়। স্যাঁতসেঁতে ভবনের ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। সংস্কারের অভাবে কর্মকর্তার কক্ষের দরজার অবস্তাও ঝুঁকিপূর্ন। তাই কার্যালয়ের নিরাপত্তা ও জানমাল নিয়ে আতঙ্কিত অফিসের কর্মকর্তারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, মৎস্য অফিসের ছাদের তিন-চারটি স্থানের পলেস্তারা খসে বেরিয়ে পড়েছে রড। আরও কয়েক স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। এ সময় কথা হয় একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে।
ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট সৈয়দ জামান বলেন, ‘প্রায়ই ছাদের প্লাস্টার ধপ করে ফ্লোরে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে আতঙ্কিত হই এবং নিজেরাই পরিষ্কার করি। আতঙ্কের মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি ২০২০ সালে যোগদান করেছি। তখন থেকে এ অবস্থা দেখছি। উপজেলা মাসিক সভায় এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার সংস্কারের জন্য অনুরোধ করেছি। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই এই অফিসে কাজ করি।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিপন কুমার পাল বলেন, ‘এটি উপজেলা পরিষদের ভবন। তাই উপজেলা প্রশাসনকে সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে কয়েক বার জানানো হয়েছে। গেল সপ্তাহেও ভবনটি আমি দেখেছি। এই অবস্থায় কর্মকর্তাদের আতংক নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। আবারও উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে জানানো হবে দ্রুত সংস্কারের জন্য।’
উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস বলেন, ‘আমাকে এতোটা গুরুত্বসহকারে বিষয়টি জানানো হয়নি। তবে আগামীকালই আমি উপজেলার প্রকৌশলীকে বলব, ভবনটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।’