যশোর প্রতিনিধি
যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ থাকছে না আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুজ্জামান পিকুলের। কয়েক দিন ধরে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (বিএলডিপি) প্রার্থী মারুফ হোসেন কাজল নির্বাচনে না থাকার গুঞ্জন উঠলেও; মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে গতকাল রোববার তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অন্য কোনো দল বা বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএলডিপি প্রার্থীর মধ্যে হবে এবার ভোটের লড়াই।
এদিকে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার পর জনসম্মুখে আসছেন না বিএলডিপির কাজল। দলটির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ নিতে কাজলকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করাতে নানামুখী চাপ প্রয়োগ ও হুমকি দিয়েছেন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি প্রকাশ্যে আসছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএলডিপি জেলার এক নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তাঁর বিপরীতে একজন ক্লিন ইমেজ মানুষ দাঁড়ালেই তিনি পাস করে যাবেন। তেমনি ক্লিন ইমেজ নেতা কাজলকে দলীয় মনোনয়ন দেয় ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে তাঁকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে নানামুখী চাপ ও হুমকি দেন। নিরাপত্তাহীনতা এমন পর্যায়ে যে; তিনি মনোনয়ন ফরম জমার দিন সকাল ৮টায় জমা দেন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুজ্জামান পিকুল। তিনি বলেন, ‘ওনার মতো টাউট মানুষকে আমি হুমকি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। উনি এক সময় ডেসটিনি করতেন; ওনার কাছে অনেক লোক টাকা পাবে, তাই তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। আমার কোনো লোক তাঁকে যদি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দেন; তাহলে তিনি প্রশাসন বা নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন।’ মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বিএলডিপি প্রার্থী কাজলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বলেন, ‘বিএলডিপি প্রার্থী কাজলের কোনো অভিযোগ পাইনি পেলে নির্বাচনীবিধি মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নেব।’
জানা গেছে, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইফুজ্জামান পিকুল, বিএলডিপি প্রার্থী কাজলসহ ৫৬ জন মনোনয়ন জমা দেন। যাচাই-বাছাইকালে ৫২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গতকাল রোববার প্রত্যাহারের শেষ দিনে সাধারণ সদস্যপদে চারজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় ভোটের লড়াই হবে চেয়ারম্যান পদে দুজনসহ ৪৮ প্রার্থীর।