রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল-রায়পুরা আঞ্চলিক সড়কে ভেঙে ফেলা সেতুর নির্মাণকাজ সাত মাসেও শুরু হয়নি। ফলে সড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এখনো সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী শামীম ইকবাল মুন্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাটির গভীরতার কারণে এ নিয়ে তিনবার মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। মাটির পরীক্ষার সমস্যার জন্য কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। আশা করি, সেতুটির নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু হবে।’
জানা গেছে, উপজেলা এলজিইডির আওতায় চরমরজাল এলাকায় খালের ওপর ২০২২ সালের জুন মাসে সেতু নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায় মঈনুল ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি গার্ডারের সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৬০ লাখ ১৪ হাজার টাকা। মেয়াদকাল ২০২৩ সাল।
স্থানীয় লোকজন জানান, এ সড়ক দিয়ে উপজেলার পৌরসভার, মারজাল, অলিপুরা, পলাশতলী, উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের চরমরজাল হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা শিবপুরের কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াত করে। শুধু তাই নয়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাতায়াতের একমাত্র সড়কও এটি। এ সড়ক দিয়ে যাওয়া-আসা করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কী কারণে সেতুর কাজ থমকে আছে তা জানা নেই।
নির্মাণকাজের দায়িত্ব পাওয়া মঈনুল ট্রেডার্সের অংশীদার মামুন বলেন, ‘তিনবার মাটি পরীক্ষা পরিবর্তন হয়েছে। আগে ছিল ৭০ ফিট এখন ১০০ ফিট গভীরতা। শ্রমিক থাকার জন্য ওইখানে ছোট একটা ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল এটাসহ অনেক মালামাল চুরি হয়ে গেছে। আশা করছি, দ্রুতই কাজটা শুরু করা যাবে।’
মরজাল ইউপি চেয়ারম্যান মো আতাউর রহমান বলেন, ‘ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সেতু নির্মাণকাজ কী কারণে বিলম্বিত হচ্ছে, তা জানি না।’