সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরায় উপকূল রক্ষা বাঁধ কেটে পাইপ বসাতে বাধা দেওয়ায় পাউবো কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাবুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ শ্যামনগর পাউবোর সেকশন অফিসার সাজ্জাদুর রহমানকে এ হুমকি দেন।
হুমকির ঘটনায় ওই পাউবো কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও বাঁধ কাটার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, পাউবোর উপকূল রক্ষা বাঁধের গাগড়ামারী অংশে প্রায় ২০-২২ মিটার জায়গা কেটে সেখানে পাইপ বসানোর চেষ্টা করেন যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ। বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার শ্যামনগর উপজেলা পাউবোর সেকশন অফিসার সাজ্জাদুর রহমান সেখানে গেলে কর্মরত শ্রমিকেরা সটকে পড়েন। এ সময় মোস্তাক আহমেদ সেখানে গিয়ে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে তাঁর চিংড়িঘেরের পানি ওঠানামার কাজে বাঁধের নিচে একটি পাইপ স্থাপন করছেন বলে জানান।
তখন পাউবো কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমানকে বাঁধ কাটার অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। এতে মোস্তাক উত্তেজিত হয়ে সাজ্জাদুরের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাঁকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এমনকি ওই পাউবো কর্মকর্তা আর কখনো গাবুরায় পা ফেললে তাঁকে মারপিটের হুমকি দেন মোস্তাক।
এ বিষয়ে পাউবো কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান জানান, বাঁধ কাটার খবরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু মোস্তাকের লোকজন কাজ অব্যাহত রাখায় তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোন দিয়ে সাহায্য চান। এতে মোস্তাক ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে পিটিয়ে এলাকাছাড়া করার হুমকি দেন। এমনকি পরবর্তীতে গাবুরায় পা ফেললে তিনি তাঁর পা ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দেন।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘ঘেরে নদীর পানি নিতে বাঁধের ওই অংশে আগে থেকেই আমার পাইপ বসানো ছিল। সম্প্রতি বাঁধ সংস্কারের সময় পাইপগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেগুলো মেরামতের জন্য বাঁধের কিছুটা কাটলে সাজ্জাদুর রহমান আমাকে গালিগালাজ করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত লোকজন ওই কর্মকর্তাকে উল্টো গালমন্দ করলে তিনি সেখান থেকে চলে যান।’
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ বলেন, ‘হুমকি দেওয়ার ঘটনায় পাউবোর সেকশন অফিসার সাজ্জাদুর রহমান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ ছাড়া বাঁধ কাটার ঘটনায় তিনি পৃথক একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’