দেবহাটায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার আসামি ও বরখাস্ত শিক্ষক ফজর আলী চাকরি ফিরে পেতে বিভিন্ন স্থানে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন। গত সোমবার তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিক ও থানার ওসিকে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফজর আলী যে অপকর্ম করেছেন এরপর তাঁকে আর শিক্ষক বলা যায় না। তার মতো শিক্ষকের জন্য বাবা-মা এখন সন্তানদের মাদ্রাসায় দিতেও ভয় পান। সেই ফজর যদি আবারও স্বপদে বহাল হন তাহলে তাঁদের সন্তানদের এখানে পড়ানো সম্ভব হবে না।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক ফজর আলী তাঁর সহকর্মী এক শিক্ষককের কন্যাকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। ২০১৮ সালের ৬ জুন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দেবহাটা থানায় মামলা হয়। যার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ।
এর আগে ফজর আলী ২০১৮ সালের ৫ জুন দেবহাটা থানা মসজিদের ভিতরে একটি হলুদ খামে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন চিঠি প্রদান করে। ঘটনা তদন্ত শেষে ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসব ঘটনায় একই বছরের ২৭ জুন ম্যানেজিং কমিটির সভায় শিক্ষক ফজর আলীকে মাদ্রাসা পরিচালনা নীতি মোতাবেক বরখাস্ত করা হয়।