নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছুটি শেষে ক্যাম্পে ফিরবেন না বাংলাদেশ দলের নারী ফুটবলাররা, এমন একটা শঙ্কার মেঘ ঘিরে ধরেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)। সেই কালো মেঘ ফুঁড়ে একটু যেন স্বস্তির সূর্য দেখা যাচ্ছে। ক্যাম্পে ফিরেছেন অধিকাংশ ফুটবলারই। নারী ফুটবলারদের জন্য আপাতত একটা উপায় বের করেছে বাফুফে।
বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, পুরুষ ফুটবলারদের সমান সুযোগ-সুবিধাসহ ছয় দফা দাবি লিখিতভাবে বাফুফে সভাপতির কাছে জানিয়ে ছুটিতে গিয়েছিলেন নারী ফুটবলাররা। দাবি পূরণ না হলে ক্যাম্পে ফিরবেন না, এমন হুমকি দিলেও গতকাল ক্যাম্পে ফিরেছেন বেশির ভাগ ফুটবলার। তবে এখনো ফেরেননি দলীয় অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সানজিদা আক্তার। সাবিনা ক্যাম্পে ফিরবেন ৩ আগস্ট, অসুস্থ থাকায় সানজিদার ছুটি বেড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের এক কর্মকর্তা বললেন, ‘নারী ফুটবল বাফুফের সাফল্যের চাবিকাঠি। এই দলকে ধরে রাখতে সব রকম চেষ্টা করা হবে। মেয়েদের বেতন বাড়ানোর একটা পরিকল্পনা হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে হয়তো চুক্তির মেয়াদ হতে পারে ছয় মাস।’
ছয় মাস মেয়াদি চুক্তিতে কত বাড়তে পারে পারিশ্রমিক, সেটা অবশ্য জানাতে পারেননি সেই কর্মকর্তা। জানেন না ফুটবলাররাও। তবে এক ফুটবলারের দাবি, ‘বাফুফেতে যিনি রান্না করেন, তাঁরও বেতন ১২ হাজার টাকা। আমরা ভোর থেকে কঠোর অনুশীলন করি। বিকেলে জিম করি। আমাদের বেতন যদি ১০ হাজার টাকা হয়, তাহলে কি আমাদের উচিত এই মানের অনুশীলন করা?’
সাফ জয়ের পর নারী ফুটবলারদের বেতন দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। একাধিকবার সালাউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করার পরও দাবি পূরণ না হওয়ায় নারী ফুটবলাররা ভীষণ বিরক্ত বলেই জানা গেছে। গতকাল যাঁরা ক্যাম্পে ফিরেছেন, তাঁরা নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই ফিরেছেন বলে জানানো হলো। অধিনায়ক সাবিনা ফেরার পর সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে নারী ফুটবলারদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা। বাফুফের প্রস্তাব করা বেতনকাঠামো পছন্দ না হলে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন তাঁদের কেউ কেউ।