ইজাজুল হক, ঢাকা
শবে কদর বা লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ের অর্থ মর্যাদার রাত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা নিজেই এ রাতকে লাইলাতুল কদর নামকরণ করেছেন এবং হাজার মাসের চেয়ে উত্তম ঘোষণা দিয়েছেন। এ রাতেই পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়।
এরশাদ হচ্ছে, ‘নিশ্চয়ই আমি মর্যাদার রাতে কোরআন অবতীর্ণ করেছি। আর মর্যাদার রাত সম্পর্কে তুমি কি জানো? মর্যাদার রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কদর: ১-৩)
কোরআন-হাদিসে শবে কদরের রাত কোনটি, তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে অধিকাংশ আলিমের মতে, রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোর কোনো একটিই শবে কদর।
হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো।’ (বুখারি) তবে অনেকেই সুনির্দিষ্টভাবে ২৭ রমজানের রাতের কথাও বলেছেন। উবাই বিন কাব (রা.) দৃঢ় শপথ করে বলেন, ‘তা (লাইলাতুল কদর) রমজানের ২৭তম রজনী।’ এরপর তিনি মহানবী (সা.)-কে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘সেদিনের নিদর্শন হলো, সেদিন সূর্যোদয় হবে; কিন্তু তাতে আলোকরশ্মি থাকবে না।’ (মুসলিম)
শবে কদরের মর্যাদা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কাছে এ মাস (রমজান) সমুপস্থিত।
এতে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত হলো, সে সমস্ত কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। কেবল বঞ্চিত-হতভাগারাই তা থেকে বঞ্চিত হয়।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্য হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) মহানবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি জানতে পারি লাইলাতুল কদর কোনটি, তাহলে আমি সে রাতে কী পড়ব?’ তিনি বললেন, ‘তুমি বলো, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম, তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি’ অর্থাৎ, হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি)