শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় বেড়েছে ডিমের দাম। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। হাঁস-মুরগির খাবার ও পরিবহন মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দামে প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা।
ডিসেম্বরে শেষ সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ছিল বেশ সস্তা। তখন প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয় ২৩-২৫ টাকা। তবে বছরের শুরুতে বাড়তে থাকে ডিমের দাম। বর্তমানে প্রতি হালি ডিম বাজারভেদে ৩৩-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডামুড্যা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা দোকানগুলোতে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়। শুধুই ডিম বিক্রি করে এমন দোকানে ৩৫-৩৬ টাকা হালিতে বিক্রি করা হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়, যা কয়েক দিন আগেও ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হয়।
ডামুড্যা হাসপাতাল এলাকায় ডিম কিনতে আসা বাবুল হোসেন বলেন, ‘চার-পাঁচ দিন আগেও ডিম কিনেছি ৩২ টাকা হালি। আজ (রোববার) কিনেছি ৪০ টাকায়।’
ডামুড্যা উপজেলায় শাহাদাত স্টোরের মালিক শাহদাত হোসেন উকিল বলেন, ‘পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে গেছে। এ জন্য বেশি দামে বিক্রি করছি।’
ডামুড্যা বাজারের সবচেয়ে বড় ডিমের পাইকারি দোকানি মো. ওমর ফারুক ব্যাপারী বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে প্রতিদিনই ডজন প্রতি ডিমে ৪ টাকা করে বেড়েছে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আড়তদারদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে খামারিদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয় বলে তাঁরা জানান। খামারিরা দাম বাড়ালে দোকানিদের বাড়াতে হয়।’
খামারি জিন্টু ছৈয়াল বলেন, ‘মুরগি ও হাঁসের খাবারের দাম বেড়েছে। তা ছাড়া পরিবহন খরচ বাড়তি। যে কারণে মাঝে মধ্যে লোকসান দিয়েও ডিম বিক্রি করতে হয়েছে। বর্তমানে চাহিদা বাড়লেও সেভাবে উৎপাদন বাড়েনি। তাই সরবরাহে সংকট দেখা দেওয়ায় দামও বেড়েছে।’