যশোরের কেশবপুরের ৭১ বছরের বৃদ্ধা নুরজাহান খাতুন। তিনি জীবিত থাকলেও সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভাতাভোগীর তালিকায় তাঁকে দেখানো হয়েছে মৃত। ফলে ভাতার টাকা প্রাপ্তির বার্তা মোবাইল ফোনে এলেও ওই বৃদ্ধা সেটি উত্তোলন করতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন নুরজাহান।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ভুলেই তাঁর নাম মৃতের তালিকায় গেছে এমনটি অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের। নুরজাহান খাতুন উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ঝিকরা গ্রামের মহসীন সরদারের স্ত্রী।
বয়স্ক ভাতা বই ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে বয়স্ক ভাতায় ভাতাভোগী হিসেবে নুরজাহান খাতুনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। বই নম্বর- ৬/৬১/ক। প্রতি মাসে ৫০০ টাকা হারে তিনি ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রথমবার বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন করেন। পর্যায়ক্রমে সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল তিনি ভাতা উত্তোলন করেছেন। এর পর মোবাইল নম্বরে ভাতার টাকার বার্তা এলেও তিনি উত্তোলন করতে দেরি করায় ওই ভাতার টাকা ফেরত চলে গেছে।
পরে মোবাইলে আর কোনো বার্তা না আসায় পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, তাঁর নাম মৃত ব্যক্তির তালিকায় রয়েছে। এ কারণে তিনি দীর্ঘ ৯ মাস তাঁর ভাতার টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। নুরজাহান খাতুনের নাতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘মোবাইলে দাদির টাকার মেসেজ (বার্তা) না আসায় সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা জানান, দাদির নাম নাম মৃতের তালিকায় চলে গেছে।’
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘জীবিত ব্যক্তির নাম কীভাবে মৃতের তালিকায় গেল, জানতে চাইলে সমাজসেবা অফিসার বলেছেন, দ্রুত এটি সংশোধন করে দেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বজলুর রশীদ বলেন, ‘আমাদের ডাটাবেজে নুরজাহান খাতুন নামের ওই বৃদ্ধা জীবিত তালিকায় রয়েছে।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহা. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘তালিকা সংশোধনের সময় নুরজাহানের জায়গায় অন্য একজনের নাম ঢুকে গেছে। নুরজাহানের নামটি ভুলক্রমে নিষ্ক্রিয় বা মৃত ব্যক্তির তালিকায় চলে যায়।’
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে বকেয়া পেতে জটিলতা হবে।