কদিন আগেই প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে অনবদ্য এক লড়াই উপহার দিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও লিভারপুল। সেই ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র করে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার লড়াইটা এখনো জমিয়ে রেখেছে তারা। সেই রেশ কাটার আগে আরও একবার মাঠে নামছে এই দুই পরাশক্তি।
এবার তাদের চ্যালেঞ্জ এফএ কাপের ফাইনালে ওঠার। এটি শুধু নিছক ফাইনালে যাওয়ার লড়াই না, এটি দুই দলের আভিজাত্য ও শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইও বটে। পাশাপাশি এটি লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য আত্মবিশ্বাস জড়ো করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
সাম্প্রতিক সময়টা দুর্দান্ত কাটছে সিটি আর লিভারপুলের। প্রায় সমান সমান গতিতে ছুটছে এই দুই দল। চলতি মৌসুমে একাধিক শিরোপা জয়ের সম্ভাবনার দুয়ারেও দাঁড়িয়ে আছে এই দুই পরাশক্তি। এখন শুধু একটি করে ধাপ এগিয়ে যাওয়ার অপেক্ষা।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই মৌসুমে শীর্ষ শিরোপাগুলোতে একে অপরের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই দুই দল। লিগে এক পয়েন্টের ব্যবধানে শিরোপার পথে ছুটছে এই দুই দল। চ্যাম্পিয়নস লিগেও সেমিফাইনালের বাধা ঠিকঠাক পেরোতে পারলে দেখা হতে পারে ফাইনালের মহারণে। সব মিলিয়ে এবার সিটি ও লিভারপুল একে অপরের শিরোপা জয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কোচের পাশাপাশি এখানে খেলোয়াড়দের মধ্যেও মঞ্চায়িত হবে দারুণ সব দ্বৈরথ। সম্প্রতি গোল-খরায় আছেন লিভারপুল তারকা মোহামেদ সালাহ। এই ম্যাচে সালাহর পায়ে গোল দেখতে চাইবে সমর্থকেরা। তবে শুধু সালাহর দিকে তাকালেই চলবে না সিটিকে, চোখ রাখতে হবে মানে, ফিরমিনো, জোতাদের ওপরও। তবে গার্দিওলার কপালে ভাঁজ বাড়াতে পারে কেভিন ডি ব্রুইন ও কাইল ওয়াকারের চোট। চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচে চোটে পড়ায় সেমিতে অনিশ্চিত তারা। তবে এ দুজন ছাড়াও ম্যাচ বদলে দেওয়ার মতো আরও তারকা আছে সিটি শিবিরে, যা সব মিলিয়ে সমানে-সমান এক দ্বৈরথের আভাসই দিচ্ছে।