Ajker Patrika
হোম > ফ্যাক্টচেক > দেশ

ছবিটি লীনা দিলরুবার, অবন্তী বড়ালের নয় 

ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

ছবিটি লীনা দিলরুবার, অবন্তী বড়ালের নয় 

পি কে হালদারের কথিত বান্ধবী অবন্তী বড়ালের ভুল ছবি ব্যবহার করছে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা। 

সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে ১৩ জানুয়ারি ধানমণ্ডি থেকে গ্রেফতার করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদিন তাকে পুলিশের বিশেষ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছিল। মাস্ক পরিহিত অবন্তীর সাথে গণমাধ্যমকর্মীরা কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি মুখ খোলেননি। একই দিন ডেইলি স্টারে প্রকাশিত সংবাদে একটি চেয়ারে বসে থাকা তার একটি স্পষ্ট ছবি প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে সারাবাংলা ডটকমে সানগ্লাস পরিহিত অপর একটি ছবি প্রকাশিত হয়। এই ছবিটি ফাইল ছবি হিসেবে আপলোড করা হয়।

গ্রেফতারের পর থেকেই অবন্তী বড়ালকে নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক খবর ও ছবি প্রকাশ পেতে থাকে। এসময় চোখে সানগ্লাস ও আকাশি রঙের পোশাক পরিহিত ছবিটির সাথে মিলিয়ে অন্য আর একটি ছবি অবন্তীর ছবি হিসেবে ব্যবহার হতে থাকে। খালি চোখে দুটি ছবির মধ্যে কিছুটা সাদৃশ্যও খুঁজে পাওয়া যায়।

ফ্যাক্ট চেক বিভাগের অনুসন্ধানে জানা যায়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিটি লেখক, সাংবাদিক লীনা দিলরুবার। বাংলাদেশ প্রতিদিন, আরটিভি, এটিএন নিউজ, যুগান্তরসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে এই ছবি অবন্তী বড়ালের নামে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে গণমাধ্যমগুলো ছবিটি পরিবর্তন করেছে। তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্ট চেক বিভাগে স্ক্রিনশটগুলো সংরক্ষিত আছে। সময়২৪, আজকের বাংলাদেশ পোস্ট, প্রবাসী বাংলা টিভি, ওয়ান নিউজসহ শতাধিক নিউজ পোর্টাল ও ইউটিউব চ্যানেলে ওই ছবিটি অবন্তীর ছবি হিসেবে ব্যবহার হতে থাকে।

গ্রেফতারের পর ডেইলি স্টারে ছাপানো অবন্তী বড়ালের ছবি

আজকের পত্রিকার ফ্যাক্ট চেক টিমের সঙ্গে ফোনে কথা হয় লীনার। তিনি বলেন, তিনি বিডি নিউজে নিয়মিত লেখেন, সেখানে প্রোফাইল ছবি হিসেবে আলোচিত ওই ছবিটি ব্যবহার করা হচ্ছিল বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। এ ছাড়া তিনি এই ছবিটি ফেসবুকেও আপলোড করেছিলেন। তবে অবন্তী বড়ালের ইস্যুতে অস্বস্তির কারণে তিনি দুটি মাধ্যমেই ছবিটি সরিয়ে ফেলেছেন। তবে ছবি আপলোডের সঠিক তারিখ জানা যায়নি।

গণমাধ্যমের এরকম ভুল কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না বলেছেন লেখকের এক সময়ের সহকর্মী সাংবাদিক জাহীদ রেজা নুর। ১২ মার্চ একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘সাংবাদিকতার কিছু নিয়ম-নীতি আছে। প্রথম যারা ছেপেছিল, তারা হয়তো ভুল করে ছাপতে পারে। কিন্তু পরে যারা ছাপল, তারাও কেউ যাচাই-বাছাই করল না? এত বড় সব অনুসন্ধানী রিপোর্টার!’

লীনা দিলরুবা দীর্ঘদিন প্রথম আলোর আলপিনে রম্য লেখক ছিলেন। কাজ করেছেন ভোরের কাগজেও। জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসুসহ আরও অনেক স্বনামধন্য কবি ও লেখককে নিয়ে নিয়মিত লিখছেন তিনি।

আরও পড়ুন ফ্যাক্টচেক:

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

বছরজুড়ে আলোচিত যত গুজব

বাংলাদেশের রাস্তাকে কাশ্মীরের শ্রীনগরের বলে চালালেন বিজেপি সমর্থক 

পদ্মা সেতু: লড়তে হয়েছে গুজবের সঙ্গেও

মঞ্চ ভেঙে শিল্পী অদৃশ্য: কোক স্টুডিও বাংলা কনসার্টে নয়

পুরোটাই গুজব: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান স্থগিত

ওই সাত শিশু এক মায়ের নয়

আইয়ুব আলীর কি সত্যিই সবুজ নামে ছেলে আছে

‘যে মাদক অফার করে, সে কখনো বন্ধু হতে পারে না’

‘ইভিএমে নৌকা ছাড়া মার্কা নেই’ দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি নাসিক নির্বাচনের নয়

ব্যালট পেপার হাতে শামীম ওসমানের ছবিটি আজকের নাসিক নির্বাচনের নয়