Ajker Patrika
হোম > স্বাস্থ্য > চিকিৎসকের পরামর্শ

গরমে প্রস্রাবের সংক্রমণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয়

ডা. জিয়াউর রহমান

গরমে প্রস্রাবের সংক্রমণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয়

দেশজুড়ে চলছে ভ্যাপসা গরম। এ সময় শরীর ঘেমে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই শরীরে পর্যাপ্ত পানি দরকার, তাঁর সঙ্গে লবণের ঘাটতিও পূরণ করা চাই। পানিশূন্যতার কারণে শরীর দুর্বল হওয়াসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এসব সমস্যার একটি হচ্ছে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া। এমন পরিস্থিতে ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। 

মূত্রনালিতে সংক্রমণ আচমকাই ধরা পড়লেও এর লক্ষণগুলো এক দিনে তৈরি হয় না। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বা সঠিক চিকিৎসা না হলে কিডনিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর পরিণাম হতে পারে ভয়াবহ। সাধারণত নারীরা প্রস্রাবের সংক্রমণে বেশি ভুগে থাকেন। পানি কম খাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম ও ঘরের বাইরে বেশি কাজ করার কারণে এটি বেশি হয়। 

এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসি থেকে কিছু ওষুধ ব্যবহার করেন, যা একেবারেই উচিত নয়। 

প্রস্রাবের সংক্রমণের লক্ষণ

  • প্রস্রাবে সংক্রমণের কারণে জ্বর হলে তার সঙ্গে সর্দি-কাশি বা গলাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায় না। 
  • প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ, প্রস্রাবের রং হলুদ বা লালচে, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত, দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব, নারীদের গোপনাঙ্গে ব্যথা, পুরুষদের মলদ্বারে ব্যথা ইত্যাদি। 
  • বেশি সংকটাপন্ন হলে পেট ও কোমরের মাঝামাঝিতে ব্যথা অনুভব করা, শীত লাগা, জ্বর, বমি বমি ভাব, বমি ইত্যাদি হতে পারে। 

প্রস্রাবের সংক্রমণে করণীয়

  • ইউরিন ইনফেকশন হলে অবশ্যই পানি খাওয়ার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। প্রস্রাবে হলুদ ভাব দেখা দিলে দেরি না করে দিনে অন্তত আড়াই লিটার পানি খেতে হবে। সাধারণত প্রতি চার-পাঁচ ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া উচিত। 
  • এর চেয়ে প্রস্রাব বেশি দেরিতে হলে পানির পরিমাণ আরও বাড়াতে হতে পারে। প্রস্রাব চেপে রাখা যাবে না। এতে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। 
  • রোগীরা খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ভিটামিন সি রাখবেন। এতে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমবে। এছাড়া ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতেও সাহায্য করে। 
  • ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি আনারস খেলেও উপকারিতা মিলবে। কারণ, এই ফলে আছে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারী এনজাইম বা উৎসেচক। 
  • এ সময় প্রোবায়োটিক-জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। কারণ এই খাবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়। ফলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় ও সংক্রমণ কমায়। টকদই প্রোবায়োটিকের ভালো উৎস। 

পরামর্শদাতা: সহযোগী অধ্যাপক, সিরাজগঞ্জ নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ

মানসিক সমস্যা হওয়ার আগে সচেতন হোন

শিশুদের বাতরোগ: প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হলে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব

জ্বর হলে কখন জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন

হাঁচি-কাশি হলে অবহেলা নয়, সচেতনতা দরকার

আপনার শিশু কি লম্বা হচ্ছে না

ঋতু অনুযায়ী ফল খাওয়ার উপকারিতা

ঈদযাত্রায় সতর্ক থাকুন

নবজাতকের অসুস্থতার লক্ষণগুলো কী

হেপাটাইটিস বি লক্ষণ ও চিকিৎসা

শিশু-কিশোরদের যে ধরনের পানীয় না দেওয়া ভালো