পৃথিবীতে মানুষের জানা সবচেয়ে প্রাচীন রোগগুলোর একটি জলাতঙ্ক। রেবিস ভাইরাস সংক্রমিত মারাত্মক এ রোগটি জুনোটিক প্রকৃতির। এই রোগে মৃত্যুহার শতভাগ হলেও এটি প্রতিরোধযোগ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্ট (২০১৮) মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ৯৬ শতাংশ জলাতঙ্ক সংক্রমণের জন্য কুকুর দায়ী।
আক্রান্ত রোগী তরল গিলতে গিয়ে গলা ও শ্বাসনালির মাংসপেশি সংকোচনে তীব্র ব্যথা অনুভব করে। এ ছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাসের সমন্বয় না হওয়ায় ফুসফুসে পানি ঢুকে অনবরত কাশি হতে থাকে। এই অসহ্য ব্যথা ও কাশির জন্য তৈরি হওয়া ভয়ংকর পরিস্থিতির কারণে পানি দেখলে রোগী আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। পানি বা জলের প্রতি তীব্র আতঙ্কের কারণেই এ রোগের নাম জলাতঙ্ক আর ইংরেজিতে হাইড্রোফোবিয়া। দুই ধরনের জলাতঙ্ক রোগ দেখা যায়—ফিউরিয়াস ও প্যারালাইটিক। তবে ফিউরিয়াস ধরনটি বেশি দেখা যায়।
আক্রান্ত মানুষের লক্ষণ
কুকুর বা প্রাণী কামড়ে করণীয়
চিকিৎসার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধের কার্যকরী সমাধান কুকুরকে নিয়মিত জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেওয়া। এতে কুকুরের শরীরে সম্মিলিত প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে ওঠে। ফলে জলাতঙ্ক ভাইরাস কুকুর থেকে কুকুরে কিংবা মানুষে সংক্রামিত হতে পারে না; অর্থাৎ ব্যাপক হারে টিকাদান নিশ্চিত করলে মানুষ ও কুকুর উভয়ই নিরাপদ থাকবে।
লেখক: এমডিভি এক্সপার্ট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, র্যাবিস ইন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ
আরও পড়ুন: