চীনা কমিউনিস্ট পার্টি মুসলিম বান্ধব না হলেও আফগানিস্তানের কট্টর ইসলামি সংগঠন তালেবানের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে যাচ্ছে। গত বুধবার সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়। তবে শুক্রবার আফগান প্রেসিডেন্টকে ফোন দিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট চি জিন পিং ইঙ্গিত দিলেন–আফগান ইস্যুতে দুই কূলেই আছে তাঁর দেশ।
ফোনালাপে আশরাফ ঘানিকে চি জিন পিং জানান, আফগান নেতৃত্বাধীন এবং আফগান মালিকানাধীন নীতিকে সব সময় সমর্থনের পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির শান্তি ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায়ও অংশ নেবে চীন। এ ছাড়া জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্যও আফগান কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
আফগানিস্তানের জাতীয় ঐক্য এবং শান্তি টিকিয়ে রাখার জন্য রাজনৈতিক সংলাপই সবচেয়ে মৌলিক উপায় বলে বিশ্বাস করে চীন। এ ক্ষেত্রে সম্প্রতি ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত একটি সংলাপে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণেরও প্রশংসা করেন চি জিন পিং।
এ প্রসঙ্গে চি জিন পিং বলেন, ‘চীন আশা করে, যখন দুই পক্ষ মিলে সংলাপ হবে তখন আফগানিস্তানের জনগণের ইচ্ছাই সবার আগে প্রাধান্য পাবে এবং দ্রুততার সঙ্গেই একটি সমাধানের ব্যাপারে ঐকমত্য হবে।’
সবশেষে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানকে মহামারি মোকাবিলার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন চীনা প্রেসিডেন্ট।
এ দিকে, চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনের অভিযোগ থাকলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, আফগানিস্তানে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে চীনাদের অনুকম্পা আশা করে তালেবান গোষ্ঠী। গত সপ্তাহেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে চীনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে বলে হংকং ভিত্তিক চায়না মর্নিং পোস্টকে জানান তালেবানের মুখপাত্র।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, চীনের দীর্ঘমেয়াদি আঞ্চলিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। তাই এ অঞ্চলে বিবাদমান সব গোষ্ঠীর সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখতে চায় দেশটি। ২০১৯ সালে বেইজিংয়ে শান্তি আলোচনায় কট্টর ইসলামি সংগঠনটিকে স্বাগতও জানিয়েছিল চীনা কর্তৃপক্ষ।