Ajker Patrika

বিবিসির প্রতিবেদন

ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে উৎপাদনে একচ্ছত্র দখল হারাবে কি চীন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চীনের ওপর আরও নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় দফায় শুল্ক বৃদ্ধি; যার ফলে চীনের পণ্য আমদানিতে এখন ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে এটি ট্রাম্পের সর্বশেষ পদক্ষেপ। এর আগে থেকেই চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশ, পোশাক ও জুতার ওপর ১৫ শতাংশসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই শুল্ক চীনের উৎপাদন শিল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত হানবে।

চীনে রয়েছে কারখানা, অ্যাসেম্বলি লাইন এবং সরবরাহ চেইনের বিশাল জাল এক ক্ষেত্র—যেখানে দ্রুত ফ্যাশন ও খেলনা থেকে শুরু করে সৌর প্যানেল ও বৈদ্যুতিক গাড়ি সবকিছুই তৈরি হয় এবং তা বিশ্বজুড়ে সরবরাহ করা হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে চীনের রপ্তানি বাণিজ্যের আয় রেকর্ড ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এর মূল কারণ ছিল শক্তিশালী রপ্তানি (৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার), যা তাদের আমদানি ব্যয়কে (২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে বৈশ্বিক ব্যবসার জন্য অর্থনীতি উন্মুক্ত করার পর থেকে সস্তা শ্রম এবং অবকাঠামোতে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগের কারণে চীন বিশ্বের কারখানায় পরিণত হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো, ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ চীনের উৎপাদনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? চীন কি উৎপাদনে একচ্ছত্র দখল হারাবে?

শুল্ক হলো অন্য দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ধার্য করা কর। বেশির ভাগ শুল্ক পণ্যের মূল্যের শতাংশ হিসাবে নির্ধারিত হয় এবং সাধারণত আমদানিকারককেই এই শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। যেমন—১০ শতাংশ শুল্কের মানে হলো চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ৪ ডলার মূল্যের কোনো পণ্য আমদানি করলে তার ওপর অতিরিক্ত শূন্য দশমিক ৪ ডলার শুল্ক দিতে হবে।

আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেশীয় ভোক্তাদের সস্তা দেশীয় পণ্য কিনতে উৎসাহিত করা এবং এর মাধ্যমে নিজেদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাড়ানোই শুল্ক আরোপের মূল উদ্দেশ্য। ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়টিকে মার্কিন অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা, কর্মসংস্থান রক্ষা এবং রাজস্ব বাড়ানোর একটি উপায় হিসাবে দেখেছেন। তবে ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তার অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে করা বিভিন্ন গবেষণা বলছে, শেষ পর্যন্ত এই পদক্ষেপ মার্কিন ভোক্তাদের জন্য জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

ট্রাম্প বলেছেন, ফেন্টানিল নামক মাদকের চোরাচালান বন্ধে তিনি এই শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছেন। উক্ত দেশগুলোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করাই এর মূল উদ্দেশ্য। তিনি একই অভিযোগে মেক্সিকো এবং কানাডার ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।

তবে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ কি চীনের কারখানাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে? বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, হ্যাঁ, পারবে।

মুডি’স অ্যানালিটিক্সের অর্থনীতিবিদ হ্যারি মারফি ক্রুজ বিবিসিকে বলেন, রপ্তানি আয় চীনের অর্থনীতির একমাত্র উৎস। তাই এই শুল্ক দীর্ঘস্থায়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি এক-চতুর্থাংশ থেকে এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যেহেতু চীনের রপ্তানি আয় দেশটির মোট আয়ের এক পঞ্চমাংশ সেহেতু, ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হলে তাদের পণ্যের ওপর বিদেশের চাহিদা কমে যেতে পারে এবং এতে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত হ্রাস পেতে পারে।

হংকংভিত্তিক বিনিয়োগ পরামর্শদানকারী প্রতিষ্ঠান নেটিক্সিসের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালিসিয়া গার্সিয়া-হেরেরো বিবিসিকে বলেন, ‘শুল্ক চীনের ক্ষতি করবে। তাদের আরও অনেক কিছু করতে হবে। সি চিন পিং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর কথা বলেছেন—এখন সেটাই বেশি জরুরি।’ তবে যেখানে নিজেদের বাজার নিম্নমুখী এবং হতাশ যুবকেরা উচ্চ বেতনের চাকরির জন্য লড়াই করছে, সেখানে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানো কঠিন কাজ। এদিকে চীনারা অর্থনীতিকে চাঙা করতে নিজেরা যথেষ্ট খরচ করছে না। এ জন্য বেইজিং নাগরিকদের খরচ বাড়ানোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে।

তবে বিশ্লেষকেরা এটাও বলছেন, মার্কিন শুল্ক চীনা উৎপাদন খাতের গতি কমিয়ে দিলেও সহজে তাদের কারখানাগুলো বন্ধ করতে পারবে না। গার্সিয়া-হেরেরো বলেন, ‘চীন শুধু বড় রপ্তানিকারক নয়, কিছু ক্ষেত্রে তারা একমাত্র রপ্তানিকারক। যেমন—সৌর প্যানেলের ক্ষেত্রে। আপনি যদি সৌর প্যানেল চান, তবে আপনাকে চীনের কাছেই যেতে হবে।’

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনেক আগে থেকেই চীন পোশাক ও জুতা তৈরি থেকে রোবোটিকস এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মতো উন্নত প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছিল। এর ফলে চীন ‘আর্লি মুভার’ হিসেবে সুবিধা পেয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির বিশাল উৎপাদন সক্ষমতা তো রয়েছেই।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের প্রধান চীনা অর্থনীতিবিদ শুয়াং ডিং বলেন, ‘চীনা কারখানাগুলো কম খরচে বিপুল পরিমাণে হাই-এন্ড টেক পণ্য উৎপাদন করতে পারে। এর বিকল্প খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন—বাজারের নেতা হিসাবে চীনের মর্যাদাকে টলানো খুব কঠিন।’

চীন মার্কিন কৃষিপণ্য, কয়লা, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস, পিকআপ ট্রাক এবং কিছু স্পোর্টস কারের ওপর ১০-১৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এ ছাড়া, তারা বিমান, প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং গুগলের বিরুদ্ধে একটি অ্যান্টি-মনোপলি তদন্তের ঘোষণা করেছে।

এ ছাড়া চীন ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শুল্কের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার জন্য গত কয়েক বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে। যেমন—কিছু চীনা কিছু প্রতিষ্ঠান দেশ থেকে তাদের কারখানা সরিয়ে নিয়েছে। অনেকে শুল্ক এড়াতে ভিয়েতনাম ও মেক্সিকোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। যারা এসব দেশে থেকেই রপ্তানি করছে।

অর্থনীতিবিদ অ্যালিসিয়া গার্সিয়া-হেরেরো বলেন, ‘মেক্সিকোর ওপর ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক চীনের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না, কারণ চীনের পণ্যের জন্য ভিয়েতনাম একটি বড় ব্যাক ডোর।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে ভিয়েতনামই মূল বিষয়। যদি ভিয়েতনামের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে আমি মনে করি এটি চীনের জন্য খুব কঠিন হবে।’

বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীনের জন্য শুল্কের চেয়েও বেশি উদ্বেগের বিষয় হলো উন্নত চিপসের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞা দুটি দেশের মধ্যে একটি বড় সমস্যা তৈরি করেছে। তবে এর একটি ভালো দিকও আছে। এই নিষেধাজ্ঞা চীনকে পশ্চিমা বিশ্বের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজস্ব প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছে।

এ কারণেই চীনা এআই ফার্ম ডিপসিক (DeepSeek) সিলিকন ভ্যালিকে চমকে দিয়ে ওয়াশিংটনকে উদ্বিগ্ন করেছে। কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের উন্নত চিপসের সরবরাহ বন্ধ করার আগে থেকেই এনভিডিয়া চিপসের মজুত গড়ে তুলেছিল।

প্রধান চীনা অর্থনীতিবিদ শুয়াং ডিং মনে করেন, ‘যদিও এটি চীনের প্রতিযোগিতার সক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে আমি মনে করি না যে এটি একটি উৎপাদন শক্তি হিসেবে চীনের মর্যাদাকে প্রভাবিত করবে।’ অন্যদিকে, উন্নত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে চীন আরও অগ্রগতি অর্জন করবে, যা তাদের উচ্চমূল্যের রপ্তানিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

বিশ্লেষকদের মতে, রাষ্ট্রীয় সমর্থন, অপ্রতিদ্বন্দ্বী সরবরাহব্যবস্থা এবং সস্তা শ্রমের কারণে উৎপাদনের ক্ষেত্রে চীন একটি পরাশক্তি হয়ে উঠছে। দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বিশ্লেষক চিম লি বিবিসিকে বলেন, ‘বৈশ্বিকীকরণ, সেই সঙ্গে চীনের ব্যবসাবান্ধব নীতি এবং বাজারের সম্ভাবনা—এই তিনটি বিষয় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করেছে।’

এরপর সরকার কাঁচামাল আনা এবং চীনা পণ্য বিশ্ববাজারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাস্তাঘাট ও বন্দরের বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরিতে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করে। চীনা ইউয়ান এবং মার্কিন ডলারের মধ্যে স্থিতিশীল বিনিময় হারও এ ক্ষেত্রে সহায়ক ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উন্নত প্রযুক্তির দিকে মনোযোগ দেওয়ায়, চীন ভবিষ্যতে প্রাসঙ্গিক এবং প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

ম্যানুফ্যাকচারিং পাওয়ার হাউস হওয়ার সুবাদে ইতিমধ্যেই চীনের যথেষ্ট অর্থনৈতিক প্রভাব রয়েছে। তবে ট্রাম্পের শুল্ক বিশ্ব মঞ্চে আমেরিকার সম্পর্কের অবনতি ঘটানোয়, চীনের জন্য একটি রাজনৈতিক সুযোগও তৈরি হয়েছে। অর্থনীতিবিদ হ্যারি মারফি ক্রুজ বলেন, ‘এর ফলেই চীনের জন্য মুক্তবাণিজ্য এবং একটি স্থিতিশীল বিশ্ব শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

তবে বেইজিংও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। যেমন—২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওয়াইনের ওপর ২০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করার অভিযোগ থাকায়, চীনের জন্য বিষয়টি সহজ হবে না। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও চীনের তাকানো উচিত। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এখনো তাদের রপ্তানির প্রধান গন্তব্য। কানাডা ও মেক্সিকোর পর যুক্তরাষ্ট্রই চীনের পণ্য রপ্তানির তৃতীয় বৃহত্তম বাজার।

এদিকে ইউরোপ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার সঙ্গেও চীনের বাণিজ্য বাড়ছে। তবে বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির দেশ একে অপরের ওপর নির্ভরশীলতা কীভাবে কমাবে, তা কল্পনা করাই কঠিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বাশার আল-আসাদের পতনের পর খালি হয়ে গিয়েছিল হোমসের এই কারাগারটি। ছবি: রয়টার্স
বাশার আল-আসাদের পতনের পর খালি হয়ে গিয়েছিল হোমসের এই কারাগারটি। ছবি: রয়টার্স

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই সেই কারাগারগুলো আবার ভরে উঠছে। এবার নতুন সরকারের অধীনেই সিরিয়ায় আবারও ফিরে এসেছে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ।

রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গত এক বছরে অন্তত ৮২৯ জন নিরাপত্তাজনিত কারণে আটক হয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের বড় অংশই কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা আদালতের আদেশ ছাড়াই বন্দী রয়েছেন।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ায় প্রথম দফার গ্রেপ্তার শুরু হয়েছিল বিদ্রোহীদের বিজয়ের পরপরই। সে সময় মূলত আসাদের আমলের সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে শীতের শেষ দিকে উপকূলীয় অঞ্চলে সহিংসতার জের ধরে আলাউইত সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন। বসন্ত ও গ্রীষ্মে দ্রুজ অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক ধরপাকড় চলে। একই সঙ্গে সুন্নি, খ্রিষ্টান ও শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনও ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ বা আসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অস্পষ্ট অভিযোগে আটক হন।

রয়টার্স জানিয়েছে, আসাদ আমলের অন্তত ২৮টি কারাগার ও আটক কেন্দ্র আবার সক্রিয় হয়েছে। এগুলোর অনেকগুলোই অতীতে নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত ছিল। যদিও বর্তমান সরকার বলছে, অপরাধীদের বিচারের প্রয়োজনে এসব কেন্দ্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অনেক বন্দীকে ইতিমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তারা প্রকাশ করেনি।

সাক্ষাৎকারে সাবেক বন্দী ও স্বজনেরা জানিয়েছেন, আটক কেন্দ্রগুলোতে ভয়াবহ মানবেতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গাদাগাদি করে বন্দী রাখা, খাবার ও চিকিৎসার অভাব, ত্বকের রোগ এবং নিয়মিত মারধরের অভিযোগ রয়েছে। অন্তত ১১ জন বন্দী কারা হেফাজতে মারা গেছেন বলে নথিভুক্ত করেছে রয়টার্স। এদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পরিবার জানতই না—দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর তারা বিষয়টি জানতে পারে।

চাঁদাবাজিও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ১৪টি পরিবার জানিয়েছে, স্বজনকে মুক্তির বিনিময়ে ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এই অঙ্ক ৯০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থ পরিশোধের পরও অনেকেই মুক্তি পাননি।

এদিকে সরকার স্বীকার করেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনের সময় কিছু ‘ফাঁকফোকর’ তৈরি হয়েছে এবং কিছু নিরাপত্তা সদস্য নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তাদের দাবি, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৫৯ জন নিরাপত্তা সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ব্যাপক আটক ও গুমের অভিযোগ নতুন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরও আসাদের পতনের পর ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচার আটক’-এর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

আসাদের শাসনামলের মতো নির্মম নির্যাতন না হলেও, পুরোনো কারাগার ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন সিরিয়ার নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। মানবাধিকারকর্মীদের ভাষায়, ‘শাসক বদলেছে, কিন্তু কারাগারের ছায়া এখনো কাটেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মস্কোতে গাড়িবোমা হামলায় রুশ জেনারেল সারভারভ নিহত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় এক জেনারেল নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বরাতে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফানিল সারভারভ (৫৬)। তিনি রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন।

তদন্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় সারভারভকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি সাদা রঙের গাড়ি বিস্ফোরণে দুমড়েমুচড়ে গেছে এবং সেটির যন্ত্রাংশ উড়ে গিয়ে পাশে থাকা অন্য যানবাহনের ওপর পড়েছে।

রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে রুশ কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকতে পারে। তবে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, জেনারেল সারভারভের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তা জানানো হয়েছে।

৫৬ বছর বয়সী ফানিল সারভারভ রুশ সামরিক বাহিনীর অত্যন্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ছিলেন। রুশ গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ফানিল সারভারভ নব্বইয়ের দশক এবং ২০০০ সালের শুরুতে তিনি ওসেটিয়ান-ইঙ্গুশ সংঘাত ও চেচেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৫-১৬ সালে সিরিয়ায় রুশ সামরিক অভিযানেও তিনি নেতৃত্ব দেন।

২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে মস্কোতে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ওপর বেশ কয়েকটি বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র আলেকজান্ডার দুগিনের কন্যা দারিয়া দুগিনা গাড়িবোমা হামলায় নিহত হন।

চলতি বছরের এপ্রিলে জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক ও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জেনারেল ইগর কিরিলভও একই ধরনের হামলায় প্রাণ হারান।

নীতিগত কারণে ইউক্রেন সাধারণত এ ধরনের হামলার দায় স্বীকার করে না। তবে গত বছর জেনারেল কিরিলভ নিহতের ঘটনায় ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল বিবিসির একটি সূত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘হিন্দু রাষ্ট্র’ সংবিধানে থাকতে হবে না, এটি সূর্যোদয়ের মতোই সত্য: আরএসএস প্রধান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘১০০ ব্যাখ্যান মালা’ অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘১০০ ব্যাখ্যান মালা’ অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত। ছবি: সংগৃহীত

ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্বদিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।

গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘১০০ ব্যাখ্যান মালা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবিধানে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ শব্দ জোড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বা দাবি সংঘের আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘সূর্য পূর্বদিকে ওঠে; আমরা জানি না কত দিন ধরে এটি ঘটছে। এর জন্য কি আমাদের সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন আছে? হিন্দুস্তান একটি হিন্দু রাষ্ট্র। যারা এই দেশকে মাতৃভূমি মনে করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করে, তারা সবাই এই দর্শনের অংশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ যদি কখনো সংবিধান সংশোধন করে এই শব্দটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা ভালো। কিন্তু তারা তা করুক বা না করুক—তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। কারণ, সত্য এটাই যে আমাদের দেশ একটি হিন্দু রাষ্ট্র।’

জাতপাত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস প্রধান স্পষ্ট করে বলেন, ‘জন্মভিত্তিক বর্ণপ্রথা বা জাতপাত হিন্দুত্বের বৈশিষ্ট্য নয়।’

আরএসএসকে প্রায়ই মুসলিমবিরোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত মানুষকে সরাসরি সংঘের শাখা বা অফিসগুলো ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছ। আপনারা যেকোনো সময় এসে দেখে যান। যদি আমাদের কার্যক্রমে মুসলিমবিরোধী কিছু খুঁজে পান, তবে আপনাদের ধারণা বজায় রাখুন। কিন্তু যদি তা না দেখেন, তবে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন।’

তিনি দাবি করেন, মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে আরএসএস হিন্দুদের সুরক্ষার কথা বলে এবং তারা কট্টর জাতীয়তাবাদী, কিন্তু তারা ‘মুসলিমবিরোধী’ নয়।

উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ (Secular) শব্দটি ছিল না। ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আনা ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে, আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, ভারতের সংস্কৃতি এবং জনতাত্ত্বিক কাঠামোর কারণেই এটি প্রাকৃতিকভাবে একটি হিন্দু রাষ্ট্র।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাইজেরিয়ায় ক্যাথলিক স্কুলের অপহৃত আরও ১৩০ শিক্ষার্থী মুক্ত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নাইজার রাজ্যের একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল ৩শর বেশি শিক্ষার্থী অপহরণ হয়। ছবি: এএফপি
নাইজার রাজ্যের একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল ৩শর বেশি শিক্ষার্থী অপহরণ হয়। ছবি: এএফপি

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার।

গত ২১ নভেম্বর পাপিরির সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক স্কুল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং কর্মী অপহৃত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশুকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

অবশিষ্ট ১৩০ জন শিশু ও কর্মীকে উদ্ধারের’ বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘একজন শিক্ষার্থীও আর বন্দিদশায় নেই।’

গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র বায়ো ওনানুগা জানান, মুক্ত শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা এখন ২৩০ জন। অপহরণের পর থেকে ঠিক কতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং কতজন বন্দিদশায় ছিল, সে বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। সরকার কীভাবে সর্বশেষ এই মুক্তি নিশ্চিত করেছে বা কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।

ওনানুগা আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, মুক্ত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার নাইজারের রাজধানী মিন্নায় পৌঁছাবে।

গত নভেম্বরে ঘটে যাওয়া এ অপহরণের ঘটনাটি উত্তর ও মধ্য নাইজেরিয়ার স্কুল এবং উপাসনালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান লক্ষ্যবস্তু হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ অপহরণের সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায় ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া।

এর আগে ১৮ নভেম্বর সেন্ট মেরি’স-এ হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে আরও কিছু গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কোয়ারা রাজ্যের ক্রাইস্ট অ্যাপোস্টোলিক চার্চে এক হামলায় দুজন নিহত এবং ৩৮ জন অপহৃত হন। এর আগের দিন কেব্বি রাজ্যের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দুজন নিহত এবং ২৫ জন মুসলিম শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছিল। কোয়ারা এবং কেব্বি হামলার ঘটনায় যাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।

এই অপহরণগুলোর পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপরাধী চক্রগুলো এই কাজ করছে।

গত ৯ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেছিলেন, তাঁর সরকার আমাদের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করতে এবং ছোটদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও অনুকূল করতে নাইজার এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত