অনলাইন ডেস্ক
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে চীনের সাংহাই শহর কর্তৃপক্ষ। শহরটিতে করোনায় আক্রান্তদের বাড়ি ধাতব বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কঠোর লকডাউনের নামে লোহার বেড়া দিয়ে মানুষের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করছে কর্তৃপক্ষ।
ওয়েইবো ও চীনের অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসংক্রান্ত বিভিন্ন ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা সবুজ ধাতব বেড়া দিয়ে বাড়ি ঘিরে দিচ্ছেন, যাতে বাসিন্দারা বের হতে না পারে।
একজন বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘ধাতব বেড়া দিয়ে গৃহপালিত পশুর মতো লোকজনকে আটকে রাখা অসম্মানজনক।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি ভবনে একজন করোনা রোগী শনাক্ত করা হলেই সেটি ধাতব বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার সংহাইয়ে করোনায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়। শহরটিতে এটি ছিল করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এদিকে সাংহাইয়ে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের জোরপূর্বক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই ‘জিরো কোভিড’ নীতি নিয়ে চলছে চীন সরকার। এই নীতি অনুসারে সাংহাইয়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। রোবট কুকুর ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রাস্তায় টহল দিচ্ছে, যাতে লোকেরা তাদের বাড়ি থেকে বের না হতে পারে।
চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্যাং জিংহুও বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কোভিড এক সপ্তাহ ধরে শহরে অদৃশ্যভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। বেইজিংয়ের করোনা আক্রান্ত রোগীদের এক চতুর্থাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি। আর সংক্রমিত বয়স্কদের অর্ধেক করোনার টিকা পাননি।